AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কালীগঞ্জে স্কুলের জমি জবরদখল করে মসজিদ নির্মাণের চেষ্টা!


কালীগঞ্জে স্কুলের জমি জবরদখল করে মসজিদ নির্মাণের চেষ্টা!

কালীগঞ্জের তুমলিয়া ইউনিয়নের বোয়ালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমি জবরদখল করে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে মসজিদ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। 

সরেজমিনে জানা যায়, বোয়ালী উচ্চ বিদ্যালয় ও ৬৮ নং বোয়ালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পাশাপাশি অবস্থিত। সম্প্রতি স্থানীয় অসাধু ব্যক্তিদের প্ররোচণায় একটি প্রভাবশালী মহল সরকারী স্কুলের জমি জবরদখল করে মসজিদ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানায়, এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল জোরপূর্বক সরকারী নতুন স্কুল ভবনের পাশে খালি জায়গা দখলে নেয়। মহলটি স্কুল কর্তৃপক্ষের নিষেধ অমান্য করে জমি দখল করে দীর্ঘদিন যাবৎ মসজিদ নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবরে স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে সরকারী স্কুলের জমিতে মসজিদ নির্মাণে ওই প্রভাবশালীমহলকে নিষেধ করলে তারা কোনরুপ কর্ণপাত না করে কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলে। অভিযোগে আরোও উল্লেখ করা হয়, স্কুল প্রাঙ্গনে মসজিদ নির্মাণের ফলে প্রধান ফটক উম্মুক্ত থাকবে এতে স্কুলের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে ও শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ ব্যাহত হবে। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তুমলিয়া ইউ.পি চেয়ারম্যান আবুবকর মিয়া জানান, যখন ছোট ছিলাম তখন এখানে একটি নামাজের ঘর ছিল। আমরা মসজিদ নির্মাণ নয়, এলাকাবাসী নামাজের জন্য একটি ঘর তৈরি করছে মাত্র।  

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুন্নাহার ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় কিছু অসাধু ব্যক্তি মসজিদ নির্মাণের জন্য সরকারী জমি দখলে নেয়। বিষয়টি স্থানীয় সাংসদসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। 

সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা জানায়, ইতোমধ্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্কুল পরিদর্শনে এসে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। নিষেধের পরেও স্কুল প্রাঙ্গনে এখনো যত্রতত্র ভাবে ছড়িয়ে ছিটয়ে রয়েছে ইট, বালী ও ইটের খোয়াসহ অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রী। এতে কোমলমতী শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা করতে গিয়ে আহত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

স্কুলের সরকারী জমিতে মসজিদ নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আজিজুর রহমান প্রতিবেদককে জানান, সরকারী আদেশ বলে বিদ্যালয়ের সকল স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি সরকারি বলে গণ্য। একই পরিসীমার ভিতর ভিন্নধর্মী দুটি প্রতিষ্ঠান স্কুল ও মসজিদ থাকলে উভয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হবে। তাছাড়া সরকারী স্কুলের অভ্যন্তরে অনুমতি ব্যতিরেকে কোন ধর্মীয় কিংবা অন্য কোন স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ নেই। কেউ করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

Link copied!