র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এলিট ফোর্স হিসেবে আত্মপ্রকাশের সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন ধরনের অপরাধ বিশেষ করে মাদক উদ্ধার, হত্যা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাতি, ছিনতাইকারী ও প্রতারকসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া জনগনের সঠিক সেবা নিশ্চিতকল্পে র্যাব নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
র্যাব-৯ এর কাছে গোপন তথ্য ছিল যে, হবিগঞ্জ জেলা সদরস্থ নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি লাইসেন্স বিহীন বেসরকারী ক্লিনিক স্থাপন করে অপারেশন পরিচালনা ও চিকিৎসা ব্যবস্থপনায় অনিয়মের মাধ্যমে সাধারণ রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করে মানুষের জীবনকে মারাত্মক হুমকির মুখে ফেলে দিচ্ছে। এসব অসাধু ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনতে র্যাব-৯ এর একটি বিশেষ দল গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্প, হবিগঞ্জের একটি আভিযানিক দল গতকাল (১৪ মার্চ) বিকাল আনুমানিক ৩টা থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত হবিগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ‘টি পপুলার জেনারেল হাসপাতাল’ এ ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের সময় লাইসেন্স ব্যতিত বেসরকারি ক্লিনিক স্থাপন এবং সেবা গ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য করার অপরাধে হবিগঞ্জ জেলার সিভিল সার্জন, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত ‘টি পপুলার জেনারেল হাসপাতাল’কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং উক্ত ক্লিনিকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার শরিফকানী গ্রামের মাসুক খাঁনের পুত্র মো: তারেক আজিজ খাঁন। তাকে ৭দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মোবাইল কোর্ট মামলা নং- ১৭/২৪, তারিখ- ১৪ মার্চ ২০২৪ খ্রিঃ, মেডিক্যাল প্র্যাকটিস এবং বেসরকারী ক্লিনিক ও ল্যাবরেটরী নিয়ন্ত্রণ অধ্যাদেশ-১৯৮২ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫২ ধারা মূলে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে ও জরিমানার মাধ্যমে আদায়কৃত টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব সূত্রে জানাযায়।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :