কুমিল্লার হাসানপুর রেলস্টেশনে বিজয় এক্সপ্রেসের ৯টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকা-ময়মনসিংহ, সিলেট-চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল সময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনো খবর জানা যায়নি।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (পূর্ব) মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এটা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন। হাসানপুর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে নাঙ্গলকোটের আগে ঘটনাটি ঘটেছে। ইঞ্জিন লাইনে আছে। তবে ৬ থেকে ৭টি কোচ লাইনচ্যুত হয়েছে। আমরা প্রাথমিকভাবে এ বিষয়টুকু জেনেছি। রিলিফ ট্রেন পাঠানোসহ আরো কিছু প্রাথমিক কাজ আছে, সেগুলো আমরা এই মুহূর্তে করছি।
লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদ উল্ল্যাহ বাহার বলেন, ঘটনার পর থেকে আপলাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল করবে। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেবদাস দেব বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার দুজন যাত্রীকে আহত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়েছে। তাদের দুজনেই শঙ্কামুক্ত।
তারা হলেন- নেত্রকোণার বারোহাট্টা উপজেলার কমলপুর গ্রামের মো. রনি (২৮) এবং কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মান্নানের ছেলে আফজাল (২৯)। তাদের মধ্যে রনি নামের যুবকের বাম পা ভেঙে গেছে। তবে তিনি শঙ্কামুক্ত। এ ছাড়া আমাদের মেডিকেল টিম ঘটনাস্থলে আছে। চারটি অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে। আমাদের মেডিকেল টিম জানিয়েছে বড় ধরনের কোনো আঘাতপ্রাপ্ত রোগী নেই।
এদিকে চট্টগ্রাম সেকশনের একাধিক লোকোমাস্টার জানিয়েছেন, অতিরিক্ত তাপে লাইন বেঁকে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তবে ট্রেনের অতিরিক্ত গতি ছিল না, কারণ সামনেই স্টেশন ছিল।
দুর্ঘটনার বেশ কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে ট্রেনটির কয়েকটি বগি ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
একুশে সংবাদ/আ.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :