ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌর সদরের ভাঙ্গা বাজারে মাংস ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে ভাঙ্গা হাটপাড় বাজারে এমন ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষ সূত্রে জানা যায়, ভাংগা বাজার দক্ষিণবঙ্গের একটি পুরাতন নামকরা বাজার। এখানে প্রতিনিয়ত, অনেক বয়স্ক, কাবু, রোগাক্রান্ত, অস্বাস্থ্যকর গাভী, ষাড়, ছাগল বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।প্রশাসনের মাংস বিক্রির নিয়ম-কানুন না মেনে মাংস বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গার স্থানীয় বাসিন্দা ও পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিবুল হাসান এক ফেসবুক কমেন্টসে লিখেন, গাভীকে ষাড়, নারী ছাগলকে খাসি বলে গরু ছাগল বিক্রি হয়। কসাইরা গাভী জবাই করে ষাড়ের লিঙ্গ ফ্রিজে রেখে ওই লিঙ্গ দিয়ে একাধিকবার গাভীর সঙ্গে সেলাই করে প্রতারণা করে বিক্রি করে। সারা দেশের মত মাংস ঝুলিয়ে বিক্রি না করে ভাঙ্গার কসাইরা মাংস বিছিয়ে তার নিচে চর্বি ভরে দিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করে বিক্রি করে ।আমরা প্রশাসনের তদারকি কামনা করি।
এদিকে সিদ্দিক শেখ নামের এক ক্রেতা জানান, মাংস কেনার সময় ওরা মাংসের সাথে আলাদা করে ৩ থেকে ৪`শ গ্রাম চর্বি, কাট সাট চোখের পলকে মিশিয়ে দেন পরে বাড়ি গিয়ে দেখি মাংসই নাই। বাংলাদেশের কোথাও এমন ঠকবাজ বেচাকেনা দেখি নাই। বাটখারার উপরে গামলা দিয়ে ঠকবাজি করে।
স্থানীয় এক ক্রেতা আসিফ জানান, সেনেটারী ইন্সপেক্টরকে উৎকোচ দিয়ে ভাঙ্গার কসাইরা বয়স্ক,কাবু, রোগা সহ যত নিশ্যা গরু আছে সেই গরু জবাই দেয় এই বাজারে। যা খাবার অযোগ্য, এভাবেই কসাইরা প্রতারণা করে আসছে ভাঙ্গায়। এ কারণে ভাঙ্গায় মাংস বিক্রি কম হয়। আমরা অন্যত্র বাজার থেকে গরুর মাংস কিনি।
আরেক ক্রেতা ইমরান মুন্সী বলেন, ৭০০ টাকা কেজি দরে মাংস কিনেছি। তবে ৭০০থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি হয়। এ বিষয়ে ভাঙ্গার সেনেটারী ইন্সপেক্টর গোলাম মাওলা বলেন, এখানে উৎকোচ এর বিষয়টি ভিত্তিহীন, কসাইরা আগে আমাদেরকে না জানিয়ে গ্রামের ভিতর জবাই দেওয়া হতো। বর্তমান নির্দেশনা দিয়েছি বিক্রির স্থানে জবাই দিতে হবে । তবে সরকারি বিধিমালায় রয়েছে গরু ক্রয় করে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর থেকে জবাইয়ের যোগ্য কিনা সেই সার্টিফিকেট নিয়ে কসাইখানায় টাঙ্গিয়ে দিয়ে জবাই দিতে হবে জনসম্মুখে। এসব কসাইরা করেন না, কসাইখানা না থাকার জন্য। সরকারি রেট রয়েছে গরুর মাংস ৬৬৫ টাকা, খাসির মাংস ১০০০ টাকা। এর বাইরে করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গা সরকারি কমিশনার ভূমি (ম্যাজিস্ট্রেট) মেশকাতুল জান্নাত রাবেয়া বলেন, বিষয়টি আমি আগে শুনিনাই রমজান মাসে যদি এমন করে থাকে এবং অসাধু ব্যবসায়ীদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। আমরা এবিষয়ে তদারকিতে নামবো।
অন্যদিকে ভাঙ্গা থানার সামনে মাংস বাজারটি থাকায় ভাংগা থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন আল রশিদ জানান, জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :