রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) স্বল্প মূল্যে পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে গজঘন্টা ইউনিয়নে পরিবার পরিচিতি (টিসিবি) কার্ডধারীদের পন্য না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অনেকই ফেরত চলে যায়। কিছু সংখ্যক কার্ডধারী উত্তেজিত হলে ডিলারের সাথে চুক্তি করে চেয়ারম্যান জনপ্রতি ২০০ টাকা দেন। এই সংবাদ পেয়ে একুশে সংবাদের সাংবাদিক ওয়াসিমুল বারী সিয়াম সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে কার্ডধারীদের সাথে কথা বললে সত্যতা পান এবং ভিডিও ধারন করতে থাকেন এ সময় ৬নং গজঘণ্টা ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী নিজ কক্ষ থেকে বের হয়ে ওই সাংবাদিককে প্রকাশ্যে জনসম্মুখে লাঞ্ছিত করে মাইক্রোফোন ছিনিয়ে ও মোবাইল ফোন ভাংচুর করে পরিষদের একটি কক্ষে প্রায় ১ ঘন্টা আটকে রাখে।
ঘটনার পরেরদিন ৬নং গজঘন্টা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্থানীয় সাংবাদিকের ডাকা মানববন্ধন পন্ড করার চেষ্টা করেন লিয়াকত আলীর নিকটতম লোকজন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ তামান্না স্বাক্ষরিত চিঠিতে ৫ জন ডিলারকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে। পত্র প্রাপ্তির তিন কার্যদিবসের মধ্যে তাদেরকে জবাব দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন, বেতগাড়ি ইউনিয়নের মেসার্স শাহ স্টোর, গজঘন্টা ইউনিয়নের মেসার্স মাহামুদ ষ্টোর, মেসার্স সাবির এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স মামুন এন্টারপ্রাইজ এবং মেসার্স নাফিজা এন্টারপ্রাইজ।
অভিযুক্ত ৫ ডিলারের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে প্রায় ৬০/৭০ জন ফ্যামিলি কার্ডধারীর মাঝে ফেব্রুয়ারি মাসের পণ্য বিতরণ না করার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদেরকে কারণ দর্শানো হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ তামান্না বলেন, পরিবার পরিচিতি (টিসিবি) কার্ডধারী অনেক ব্যক্তি এইসব ডিলারদের কাছ থেকে পণ্য পায়নি । এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের কাছে তিন কার্য দিবসের মধ্যে চাওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, টিসিবির পন্যের বিনিময় টাকা দেওয়ার নিয়ম নেই।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :