কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনায় ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ৬ জনকে উদ্ধারে দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান শুরু হয়েছে। রোববার (২৪ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে মেঘনা সেতু সংলগ্ন এলাকায় ফায়ার সার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএর দুটি উদ্ধারকারী ডুবুরি দল উদ্ধারকাজ পরিচালনা করছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় ভৈরবের মেঘনা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় ডুবে যায় পর্যটনবাহী ট্রলার। শনিবার (২৩ মার্চ)পর্যন্ত উদ্ধারকারী ডুবুরি দল এক কিশোরী ও এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। এতে এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়ায় মোট ৩ জনে। তবে এখনও এক পুলিশ সদস্যসহ ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শনিবার সারাদিন উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয় তারা হলেন- পুলিশ কনস্টেবলের স্ত্রী মৌসুমী বেগম (২৬) ও শহরের আমলাপাড়া এলাকার মিষ্টি ব্যবসায়ী টুটন দে’র মেয়ে আরাধ্য (১১)।
এখনও নিখোঁজরা রয়েছেন- পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৪), তার মেয়ে মাহমুদা সুলতানা (৭), ছেলে রাইসুল (৫), ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার মানিকখালী গ্রামের বেলন দে (৪৫) ও নরসিংদির বেলাব থানার দড়িকান্দি গ্রামের দারু মিয়ার মেয়ে আনিকা আক্তার (১৮)।
কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, রোববার সকাল থেকে পুনরায় নিখোঁজসহ ডুবে যাওয়া ট্রলার উদ্ধারের জন্য আমরা অভিযান শুরু করেছি। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যই ডুবে যাওয়া ট্রলারটি তীরে ওঠাতে পারবো এবং নিখোঁজ ব্যক্তিদের সন্ধান পাওয়া যাবে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :