গাইবান্ধা জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, তিস্তা, ঘাঘট, করতোয়া, বাঙালিসহ ছোট বড় বেশ কয়েকটি নদ-নদী। জেলায় প্রবাহিত মোট নদী পথের আয়তন প্রায় ১০৭ কি.মি.। শুষ্ক মৌসুম শুরু হওয়ায় জেলার সবগুলো নদ-নদী বর্তমানে পানিশূন্য হয়ে পড়েছে।
গাইবান্ধার নদ-নদীগুলো সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বয়ে যাওয়া অধিকাংশ নদ-নদী প্রায় পানিশূন্য হয়ে পড়েছে। অনেক জায়গায় মানুষজন হেঁটে চলাচল করছে। গত বছর বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবারের শুষ্ক মৌসুমে আগাম নদ-নদীর পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। ফলে কৃষিখাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। নদীর পানি কমে যাওয়ায় কমে গেছে মাছের আমদানি। ফলে জেলেরা বাঁচার জন্য খুঁজছে অন্য পেশা। পানি কমায় আবাদ করতে কৃষককে গুণতে হচ্ছে বাড়তি খরচ। বছরের আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন এই ৪ মাস নদীতে কানায়-কানায় পানি থাকে। বছরের বাকি ৮ মাসের মধ্যে কার্তিক, অগ্রহায়ণ ২ মাস পানি মাঝামাঝি এসে দাঁড়ায়। পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন, চৈত্র, বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ এই ছয় মাস পানি হাঁটু জলে নেমে এলেও এবার অনেক নদীর পানি আগাম শুকিয়ে গেছে।
জানা গেছে, ভারতের উজান থেকে নদ-নদী দিয়ে প্রায় ২ বিলিয়ন মেট্রিকটন পলি মাটি বাংলাদেশে প্রবেশ করে। তার মধ্যে শতকরা ৮০ ভাগ পলিমাটি জেলার বিভিন্ন নদী দিয়ে আসে। ফলে নদীগুলো দ্রুত ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পানির অভাবে স্থায়ী মরুকরণের পথে যাচ্ছে দেশের উত্তরের নদী বেষ্টিত জেলাটি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ঘুষ ছাড়া পুলিশে চাকরি পেলেন ২৮ জন
ফুলছড়ি উপজেলার বালাসী ঘাটের অনেকেই জানান, ব্রহ্মপুত্র ভরাট হওয়ার কারণে নৌ চলাচলে বিঘ্নিত হচ্ছে। পানি কম থাকায় নৌকা ঘুরে যেতে তেল ও সময় দুটোই বেশি লাগে। এতে করে মাঝিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :