লালমনিরহাটের আদিতমারীর দুর্গাপুর ও নওগাঁর পোরশা সীমান্তে দুই বাংলাদেশি যুবককে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাতে আদিতমারীর দূর্গাপুর বিওপি সীমান্তের ৯২৩ নাম্বার পিলারের কাছে ভারতের ৭৫ গজ অভ্যন্তরে ও মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১/১০ নং পিলারের কাছে সীমান্তের ওপারে ভারতীয় অংশে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- লিটন (১৯) ও আলামিন (২৮)। লিটন আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দীঘলটারী এলাকার মোকছেদুল রহমানের ছেলে ও আলামিন পোরশার বিঞ্চুপুর এলাকার সিদ্দিক মিয়ার ছেলে।
জানা যায়, কোচবিহার জেলার সিতাই থানার কৈমারী ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক লিটন নিহত হয়। পরে নিহতের মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ। এ ঘটনায় বিজিবি-বিএসএফ পর্যায়ে কোনো প্রকার পতাকা বৈঠক এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি।
লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নবিকুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাত থেকেই সীমান্তে বিজিবিসহ অপেক্ষা করছি মরদেহ ফেরতের জন্য। কিন্তু ভারতীয় বিএসএফ এখনো নিহতের মরদেহ ফেরত দেয়নি।
এ দিকে সোমবার সঙ্গীদের নিয়ে গরু আনতে যান আলামিন। গরু নিয়ে ফেরার পথে পোরশা সীমান্তের-পিআর ৩১-১০ পিলারের কাছে দাল্লা সীমান্তের বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলামিন। এরপর তার মরদেহ নিয়ে যায় বিএসএফ সদস্যরা।
নওগাঁ-১৬ বিজিবির কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মাহফুজুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিন করেছেন। তিনি বলেন, সীমান্তে ভারতের অভ্যন্তরে একজন মারা গেছেন। এ ব্যাপারে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে চিঠি দেবেন বলেও জানান তিনি।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :