পাবনার ভাঙ্গুড়ায় রমজানে ইফতার সামগ্রীতে চাহিদার শীর্ষে রয়েছে মৌসুমি ফল। উপজেলার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ও ফলের দোকানগুলোতে এসব মৌসুমি ফল কিনতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লেগে থাকে সব সময়। এ ছাড়া শসা ও কলার পাশাপাশি বাঙ্গি, তরমুজ, বেলের চাহিদাও রয়েছে প্রচুর।
সরেজমিন মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলার শরৎনগর বাজার, কালিবাড়ী, উত্তর মেন্দা, ভাঙ্গুড়া বাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ছোট-বড় ও মাঝারি প্রতিটি বেল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। প্রতিটি দেশি বড় বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। মাঝারি আকৃতির বাঙ্গির দাম ৬০ থেকে ৭০ টাকা। তরমুজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।
উপজেলার শরৎনগর বাজারে বাঙ্গি কিনতে আসা সুমন আহমেদ জানান, বিভিন্ন হোটেল, রেস্তোরাঁসহ ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকানদাররা আলুর চপ, বেগুনি, পিঁয়াজি, সবজিবড়া, চিংড়িবড়া, বুন্দি, জিলাপি, বুট-মুড়িসহ রকমারি ইফতার সামগ্রীর পসরা নিয়ে বসে। এসব ভাজাপুড়া ইফতারসামগ্রীর চেয়ে শসা ও কলার পাশাপাশি কদর বেড়েছে মৌসুমি ফল বাঙ্গি, বেল ও তরমুজের।
উপজেলার ভাঙ্গুড়া বাজারে বেল কিনতে আসা মমতাজুর রহমান মিন্টু বলেন, বিভিন্ন ফরমালিন মিশ্রিত অস্বাস্থ্যকর শরবতের চেয়ে বেলের শরবত স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তাই দাম একটু বেশি হলেও প্রতিদিন পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেলের শরবত দিয়েই ইফতার করা হয়।
ভাঙ্গুড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাঙ্গি চাষি ও বিক্রেতারা জানান, বাঙ্গি মৌসুমি ফল। এক সপ্তাহ ধরে আবাদ করা রাসায়নিক কীটনাশক ও কেমিক্যালমুক্ত টাটকা বাঙ্গি বিক্রি করা হচ্ছে। এবারের রমজানে এ ফলের চাহিদা বেশি তাই দামও ভালোই পাওয়া যাচ্ছে।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. আল-আমিন হোসেন জানান, বাঙ্গিতে আছে শরীরের জন্য নানা উপকারী উপাদান। তাই এ গরমে বেশি করে বাঙ্গি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। বেল ও তরমুজেরও রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ।
একুশে সংবাদ/এনএস
আপনার মতামত লিখুন :