মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সামাজিক বনায়নের নির্জন পাহাড়ের নিখোঁজের দুই দিন পর সুপারি গাছের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো ওই এলাকার রেখা বেগম (২০) নামে এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে কুলাউড়া উপজেলা বরমচাল ইউনিয়নের পশ্চিম সিংগুর গ্রীজিং এলাকায় রুহুল আমিনের মেয়ে।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, কুলাউড়া উপজেলা বরমচাল ইউনিয়নের পশ্চিম সিংগুর এলাকার রিজার্ভ ফরেস্টের সামাজিক বনায়নের গভীর জঙ্গলে নির্জন উঁচু পাহাড়ের উপরে সুপারি গাছের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো এক যুবতীর লাশ প্রথমে দেখতে পান ওই এলাকার সামাজিক প্রহরী রমজান মিয়া। তিনি দেখার পর ওই এলাকার লোকজন ও পুলিশকে অবহিত করেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) দিপঙ্কর তালুকদার, কুলাউড়া থানা ইন্সপেক্টর কৌশন্যসহ এস আই আব্দুর রহিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে জিজ্ঞাসাবাদের পর লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এদিকে যুবতী বাবা রুহুল আমিন বলেন, গত বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর থেকে আমার মেয়েকে খুঁজে পাচ্ছি না। পারিবারের লোকজন ও আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজ খবর নিয়ে পাইনি। গতকাল (বৃহস্পতিবার) এলাকার লোকজনকে জানালে ওই এলাকার বারিক মিয়ার ছেলে সজিব আমাকে বলে তোমার মেয়ের সাথে শুনলাম তার স্বামীর তালাক হয়েছে। তাহলে সে (তালাক প্রাপ্ত স্বামী) রিয়াজের সাথে জঙ্গলে দিকে কেন যাচ্ছে।
রুহুল আমিন আরও বলেন, আমার মেয়েকে প্রায় দুই বছর আগে পাশের বাড়ির সেমিল ম্যাকারের দ্বিতীয় ছেলে রিয়াজ উদ্দিনের সাথে বিয়ে দেই। বিয়ের পর সাংসারিক সমস্যা তৈরি হলে ৬ মাস পর আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। দুই মাস আগে রিয়াজের সাথে আমার মেয়ের তালাক সম্পন্ন হয়। সে তার মার সাথে পান পুঞ্জিতে কাজ করতো। ওইদিন বুধবার আমি বরমচাল বাজারে ছিলাম আমার মেয়ে কাজে যায়নি। বাজার থেকে এসে থাকে আর পাইনি। আজ (শুক্রবার) পেলাম তার লাশ। রিয়াজই আমার মেয়ের হত্যা করেন বলে দাবি করেন তিনি।
কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত অফিসার) কৈশ্যন বলেন, আমরা লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। হত্যার বিষয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :