বাগেরহাটের শরণখোলায় বৃষ্টি (১৬) নামের দশম শ্রেণির এক ছাত্রী বিষ পানে আত্মহত্যা করেছে। ২ এপ্রিল সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মুমুর্ষ অবস্থায় শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে এম্বুলেন্সে উঠানো মাত্রই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে তার মৃত্যু ঘটে। বৃষ্টির সাথে থাকা আত্মীয় স্বজনরা জানায়, মৃত্যুর আগে বৃষ্টি বিপ্লব নামে এক ছেলের কথা বার বার স্মরণ করেছে। তাদের ধারনা ওই বিপ্লবের সাথে তার কোনো প্রেমের সম্পর্ক থাকতে পারে।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও হাসপাতাল সূত্রে জানায়, উপজেলার দক্ষিণ তাফালবাড়ী গ্রামের রথিন্দ্র নাথ হালদারের কণ্যা ও তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি হালদার ২ এপ্রিল (মঙ্গলবার) সকালে ঘুম থেকে উঠে কাউকে কিছু না বলে সাড়ে ৮টার দিকে চালের মধ্যে দেয়ার (কীটনাশক) ট্যালেট খেয়ে ফেলে। পরে আমাকে বাাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে শুরু করে। এ সময় তার বাবা বাড়িতে না থাকায় শ্যামল হালদার নামের সম্পর্কে নানা বৃষ্টিকে নিয়ে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
কর্তব্যরত চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আসফাক হোসেন বলেন, চালের মধ্যে দেওয়ার ট্যাবলেট (কিটনাশক) খালি পেটে পান করায় তার অবস্থা গুরুতর হয়েছে। এ ধরনের রোগী শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ না থাকায় তাকে তাৎক্ষণিক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছিল।
বৃষ্টির সাথে থাকা তার মামি মনি বলেন, এম্বুলেন্স ভাড়া করে উঠানোর প্রস্তুতি কালে বৃষ্টির মৃত্যু ঘটে। ঘটনা শুনে শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ তদন্ত রাধেশ্যাম সরকার শরণখোলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসেন এবং মৃত দেহ থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বৃষ্টির বাবা রথিন্দ্রনাথ হালদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন কেন তার মেয়ে চালের মধ্যে দেওয়া ট্যালেট খেয়েছে তা তিনি জানেন না।
শরণখোলা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ এএইচএম কামরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় শরণখোলা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :