গ্যাস সিলিন্ডারের আগুনে পুড়ে গেছে ফারজানা খাতুন (২০) নামের এক গৃহবধূর সারা শরীর। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাতে কোটচাঁদপুরের সোয়াদি গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। ৯ ঘন্টা মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেলেন তিনি।
মৃতের দেবর আজাদ রহমান বলেন, মঙ্গলবার রাত তখন ৯.৩০ মিনিট। গ্যাস সিলিন্ডারের পাইপ লিকেজ হয়ে সারা ঘরে আগে থেকে গ্যাস ছড়িয়ে ছিল। আমার ভাবি রান্নার জন্য আগুন জ্বালতেই সারা ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগে তাঁর পরনের শাড়িতে। এরপর তিনি শাড়ি খোলার আগেই শরীর পুড়ে ঝলসে যায়।
এ সময় স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে তাকে যশোর হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করা হয়। যশোরে অবস্থার অবনতি হলে পরে তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওই রাতেই ভোর ৫ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান ফারাজানা খাতুন(২০)। ওই সময় স্ত্রীকে আগুন থেকে বাঁচাতে গিয়ে আমার ভাইয়ের হাত পুড়ে। ও কিছুটা আহত হয়েছেন।
ফারজানা খাতুন কোটচাঁদপুরের সোয়াদি গ্রামের নাজমুল হকের স্ত্রী। পারিবারিক জীবনে তিনি এক সন্তানের জননী।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রাফসান রহমান বলেন, আগুনে পোড়া রোগীটি মঙ্গলবার রাত ১১ টার সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। রোগীকে দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। তবে আগুনে তাঁর শরীলের ৮৫ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় তাকে যশোর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নাই। এছাড়া এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে থানায় আসেনি।
একুশে সংবাদ/স.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :