ফরিদপুরে তীব্র গরমের মধ্যে ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বেড়েছে চার্জার ফ্যান, লাইট বিক্রি। ছোট-বড় নানা ধরনের চার্জার ফ্যান এবং বিভিন্ন ধরনের লাইট দেদারসে বিক্রি হচ্ছে। দিনে রাতে ৫-৬- ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছেই। যার ফলে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিদ্যুতের চাহিদা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিভিন্ন এলাকাকে নির্ধারিত সময়ে লোডশেডিং দেয়ার হচ্ছে।
অনেক সময় লোডশেডিংয়ে তীব্র গরম আর অন্ধকারে দুর্বিষহ হয়ে পড়ে জনজীবন। এর থেকে সাময়িক রেহাই দিতে গেল কয়েক বছরে রিচার্জেবল (চার্জার) ফ্যান-লাইটের চাহিদা বেড়েছে কয়েকগুণ।
যাদের আইপিস বা জেনারেটর কোনটাই কেনার সামর্থ্য নেই তারাই মূলত রিচার্জেবল বা চার্জার ফ্যান-লাইটের ক্রেতা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তীব্র গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়েই বাড়ছে লোডশেডিং। ২৪ ঘন্টার ৫-৬ বার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার করনে অনেকেরই নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে। বিদ্যুৎ বার বার যাওয়ার জন্য লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে শিক্ষার্থীদের। গরমের মধ্যে লোডশেডিং থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে বিকল্প হিসেবে চার্জার ফ্যানের, লাইটারের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। গত কয়েকদিনে ফরিদপুরে ইলেকট্রনিক দোকানগুলোতে বেড়েছে লাইট ও চার্জার ফ্যানের বিক্রিও।
দোকানিরা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে লাইট ও চার্জার ফ্যানের চাহিদা বেড়েছে। দামও একটু বেশি। চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ কম ফ্যানের। প্রতিদিনই অনেক ফ্যান বিক্রি হচ্ছে। চায়না মিনি ফ্যানগুলো বেশি চলছে। স্কুলছাত্ররা এ ফ্যানগুলো বেশি কিনছে। ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে মিনি ফ্যানগুলো এক থেকে দেড় ঘণ্টা চলে এক চার্জে। এছাড়া, মান ও আকার অনুযায়ী ৪ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে ফ্যান বেশি বিক্রি হচ্ছে। জেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিকসহ বিভিন্ন দোকানে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, ইলেকট্রনিক দোকানে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড়। তাদের চাহিদা মেটাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন মালিক ও কর্মচারীরা। ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় দোকানগুলোতে অনেক চাপ পড়েছে। আগে যেখানে দিনে ২ থেকে ৩টি চার্জার ফ্যান বিক্রি হতো, সেখানে বর্তমানে দিনে ১৫ থেকে ২০টি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, বাল্ব ও চার্জার লাইটের বিক্রি বেড়েছে পাঁচ থেকে ১০ গুণ। চার্জার ফ্যানের দাম চলতি সপ্তাহে ৩শ’ থেকে ৪শ’ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।
সনতচক্রবর্ত্তী নামে এক গণমাধ্যম কর্মীর সাথে কথা হয় তিনি বলেন, এবারের তাপমাত্রা গত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে মানুষ। অতিরিক্ত তাপমাত্রা থেকে বাঁচতে ফ্যান কিনতে দোকানে ভিড় করছে মানুষ। তবে দাম বাড়ায় ফ্যান কিনতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে সাধারণত মানুষের ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক দোকানি বলেন, তীব্র তাপদাহের কারণে কোম্পানিগুলো ফ্যানের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আর চাহিদা অনুযায়ী মালও পাচ্ছি না। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ২ হাজার ৩০০ টাকার চার্জার ফ্যান ৫ হাজার টাকারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।আমরা অসহায় সিন্ডিকেটের কাছে।
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী গীতা অঞ্জলি ইলেকট্রনিক দোকানে সামনে থেকে কথা হয় চার্জার ফ্যান কিনতে আসা আব্দুর রহিম বলেন,চৈত্র মাসে ‘দিনের অধিকাংশ সময়ই বিদ্যুৎ থাকছে না তারপর প্রচন্ড গরম। তাই চার্জার ফ্যান কিনতে বাজারে আসছি। কিন্তু কয়েকটা দোকান খুঁজেও কাঙ্ক্ষিত ফ্যান পেলাম না তারপর দাম বেশি ।’
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :