ঠাকুরগাঁওয়ে শীতকালীন উচ্চ মুল্যের সবজী ও বীজ উৎপাদনে প্রযুক্তি শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৮এপ্রিল) ঠাকুরগাঁও বারি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের আয়োজনে শহরের কলেজপাড়া কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের হলরুমে এসভা অনুষ্ঠিত হয়।
ঠাকুরগাঁও কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট`র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, মিষ্টি মরিচ কয়েক বছর আগে শুধু রেস্তোরাঁ ও উচ্চ বিত্তদের পছন্দের তালিকায় ছিলো। বর্তমানে এর ফলন ও উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি মরিচ-১ ও বারি মিষ্টি মরিচ-২ নামে ২টি ওপি জাত উদ্ভাবন করেছে। যা উচ্চ ফলনশীল, উৎপাদন খরচ কম ও লাভজনক। বারি মিষ্টি মরিচ-১ এর ফলে গড় ওজন ৮০-৯০ গ্রাম এবং ৭০-৮০ দিনে ফল সংগ্রহ শুরু হয়। এটি অপরিপক্ক অবস্থায় সবুজ কিন্তু পরিপক্ক হলে হলুদ বর্ণের হয়।
ফলের গড় ওজন ৮০-৯০ গ্রাম। যাতে মিষ্টি মরিচ দীর্ঘ দিন ধরে (৫০-৬০ দিন) সংগ্রহ করা যায়। ফলন ১৫-২০ টন হেক্টর। হাইব্রিড জাতের উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় কৃষক লাভবান হতে পারছে না। পক্ষান্তরে বারি জাতের খরচ কম হওয়ায় চাষাবাদ লাভজনক। পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি ১৫০টাকা হিসেবে প্রতি হেক্টরে বিক্রয় মুল্য ২২ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
পরে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট`র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে ফসলের মাঠে যান। এবং বিভিন্ন পরামর্শ দেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এর তথ্য মতে ২০২১ অর্থ বছরে দেশের ৫৪ একর জমি হতে ১৭৭ টন মিষ্টি মরিচ উৎপাদন হয়। যা গেল বছর ছিলো ১৩.৪ একর হতে ৩৯ টন। ২০২০ সালে একর প্রতি ফলন ২.৯ টন হতে ২০২১ সালে একর প্রতি ফলন ৩.২৬ টনে উন্নীত হয়। বর্তমানে ফলন একর প্রতি ১৫-২০ টন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :