শেরপুর ঈদ ও পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে জেলা শহরের ছোট-বড় সকল বিপণীতে উপঁচে পড়া ভীড়। ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই দিন-দিন ক্রেতাদের ভীড় ক্রমশই বেড়ে উঠছে।
অনেক দোকানীরা ক্রেতাদেরকে সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে। জেলার সদরসহ ৫ উপজেলার অতিরিক্ত লোকজন সমাগমের কারণে জেলা শহরের নিউমার্কেট, বটতলা মোড়, কলেজ মোড়, থানার মোড়, এসব ব্যস্ততম জায়গায় পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করার পরেও জেলা শহরের মার্কেট গুলোতে হেটে চলাই কঠিন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের উপঁচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে।
ঈদুল ফিতরের ২ দিন পরেই পহেলা বৈশাখ পড়ায় জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের লোকজন বিভিন্ন বিপণী গুলোতে কেনাকাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঈদ ও পহেলা বৈশাখ কে সামনে রেখে ৫ শত টাকা দামের একটি জামা দোকানীরা দাম হাকিয়ে যাচ্ছে দ্বিগুন। তবুও কেনাকাটা থেকে দূরে সরে নেই কেউ। যে যেমনী পাচ্ছে তেমন দামে জামা-কাপড় ও নানা ধরনের বিলাসিতা জিনিস পত্র কিনে নিয়ে যাচ্ছে।
ঈদ ও পহেলা বৈশাখ কে সামনে রেখে প্রতিটি বিপণীর মালিকেরা পর্যাপ্ত পরিমাণের মালামাল মজুত আছে বলে দাবি করে জেলা শহরের প্রতিষ্ঠিত বেশ কয়েকটি বিপণী মালিকরা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অতিরিক্ত দামের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠিত মালিকগন বলেন, সকল দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপড় চোপড়ের দাম কিছুটা বেড়ে গেছে।
নিন্ম আয়ের মানুষেরাও কেনাকাটায় পিছিয়ে নেই।
নিন্ম আয়ের মানুষের জন্য স্বল্প মূল্যে কেনাকাটার জন্য যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। জেলা শহরের বিভিন্ন ধরনের নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বিভিন্ন মার্কেট খোলা রয়েছে।সেই মার্কেট গুলোতেও উন্নতমানের সুন্দর ডিজাইনের স্বল্প মূল্যের নিম্ম আয়ের মানুষগুলো নির্বিঘ্নে কেনাকাটা করছে।
নিম্ম আয়ের মানুষের জন্য উল্লেখ্য যোগ্য মার্কেট গুলো হচ্ছে তেরা বাজার, শহিদ বুলবুল সড়ক, খরমপুর, মুন্সি বাজার, রঘুনাথ বাজার, টাউন হল মোড়।
আগত কেনাকাটার লোকজন জানায়, তার পরিবারের জামা- কাপড় কেনাকাটার যে বাজেট ছিলো তার চেয়ে দ্বিগুন লেগেছে তবুও কিনতে হয়েছে আমাদের ছেলে মেয়েদের জন্য।
নিউমার্কেট শপিং করতে আসা পথচারীরা দ্রব্যমূল্যের উর্দ্দগতি থাকায় এবার ঈদের কাপড়ের দাম একটু বেশী যেমন গেলো ঈদে যে জামার পিছ ১২ শত টাকায় কিনেছি সেই কাপড় এই ঈদ মার্কেটে কিনতে হচ্ছে ১৮ শত থেকে ২ হাজার টাকায়।এছাড়াও জামা কাপড়ের
পাশাপাশি জুতা,গেঞ্জি, কসমেট্রিকস, অন্যান নিত্যপনের জিনিসের দামও বেশকিছু চড়া।অনেকেই জুতা কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে অনেক জুতার দোকানে দোকানিরা জুতায় একদাম লিখে রাখার কারণে মধ্য আয়ের মানুষেরা একদামে জুতা কিনতে না পারায় জেলা শহরের পৌর টাউন হল মোড়ের ফুটপাত থেকে একটু কম দামে জুতা কিনতে উপঁচে পড়া ভীড় লক্ষ করা গেছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :