ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সোমবার (৮ এপ্রিল) দেশের শিল্প কারখানা ছুটির পর গাজীপুরের মহাসড়কে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল নামে। তবে মধ্যরাত থেকে যানজট কমে গেলেও সকাল থেকে আবারও বেড়েছে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চন্দ্রা ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা, ভোগরা বাইপাসসহ আশেপাশের এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি, থেমে থেমে চলছে যানবাহন। গণপরিবহন সংকটে গাড়ি না পেয়ে অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কয়েকগুণ বেশি ভাড়ায় খোলা ট্রাক, পিকআপ ও বাসের ছাদে ভ্রমণ করছেন।
গাজীপুরের চন্দ্রার তিনটি মোড়েই যানবাহনের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে। সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর, বাইপাল ও কবিরপুর এলাকা থেকে চন্দ্রা প্রবেশমুখ, চন্দ্রা পাড় হয়ে টাঙ্গাইলগামী মহাসড়কে যানবাহনে চলছে থেমে থেমে। এ ছাড়া গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগরা বাইপাসে যানবাহনের চাপ রয়েছে। মহাসড়কের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য দিনরাত কাজ করছেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, গত রাতে বেশ যানজট থাকলেও রাত দুইটার পর থেকে যানজট কমে আসে। তবে সকাল থেকে আবার যানবাহনের চাপ বেড়েছে। তবে, এখন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
নাওজোড় হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, চন্দ্রাকে কেন্দ্র করে সারারাত যানবাহনের ধীরগতি থাকলেও সকালে কিছুটা কমতে শুরু করেছে। এখনও আশপাশে যানবাহনের সারি থাকলেও থেমে থেমে যানবাহন চলছে। বিকেলের মধ্যে চাপ অনেকটা কমে যাবে।
একুশে সংবাদ/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :