শুক্রবার (১২ এপ্রিল) থেকে শুরু হলো চাকমা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৩ দিনব্যাপী বিজু উৎসব। নদী এবং হৃদে ফুল ভাসিয়ে গঙ্গা দেবীকে পূজার মধ্য দিয়ে `ফুল বিজু` উদযাপন শুরু হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের ৩ জেলায়। ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সেজে পাহাড়ি তরুণ-তরুণীরা সবার মঙ্গল কামনা করে কলাপাতায় ভক্তি ও শ্রদ্ধাভরে গঙ্গাদেবীর পূজা করেন। এরপর দেবীর উদ্দেশে ফুল ভাসিয়ে পুরাতন বছরের গ্লানি ভুলে নতুন বছরের জন্য শুভ কামনা করেন।
সূর্য উদয়ের আগেই সাঙ্গু নদীর তীরে ফুল ভাসাতে শতাধিক তঞ্চঙ্গ্যা ও চাকা শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণী, বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ভিড় জমিয়ে গঙ্গাদেবীর পূজা শেষ করে ঘরে ঘরে ২০ থেকে ৩০ রকমের সবজি দিয়ে তৈরি করেন ঐতিহ্যবাহী পাজন। নতুন পোশাক পরিধান করে একে অপরের বাসায় পাজন খেতে যাব প্রত্যেকেই।
মোট ৩ দিন বিষু উৎসব পালন করে তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠী। এই তিনদিনের নাম হলো ফুলবিষু, মূলবিষু ও নয়া বছর।
উল্লেখ্য, পার্বত্য চট্টগ্রামের ১২টি জনগোষ্ঠীর মধ্যে বাংলা বর্ষকে বিদায় জানানোর এই অনুষ্ঠান তাদের প্রধান সামাজিক উৎসব হিসেবে বিবেচিত। এই উৎসব চাকমা জনগোষ্ঠী বিজু নামে, ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর মানুষ সাংগ্রাই নামে, মারমা জনগোষ্ঠীর মানুষ বৈসুক, তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর মানুষ বিষু এবং কোনো কোনো জনগোষ্ঠীর মানুষ বিহু নামেও পালন করে।
বৈসুকের `বৈ`, সাংগ্রাইয়ের `সা` এবং বিজু, বিষুর `বি` নিয়ে উৎসবটিকে সংক্ষেপে `বৈসাবি` নামে পালন করা হয়। পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের পর থেকে পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠীকে সম্মিলিতভাবে সম্প্রীতির এই উৎসবে একীভূত করার জন্য সংক্ষেপে এই নামটি প্রচলন করা হয়।
একুশে সংবাদ/এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :