কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) ৯ সদস্য। এ সময় তাদের হাতে অস্ত্র ছিল। পরে বিজিবির কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে তারা আশ্রয় নেয়।
রোববার (১৪ এপ্রিল) সকালে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের খারাংখালী সীমান্ত দিয়ে তারা অনুপ্রবেশ করে। টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তাদের বিজিবি হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এর আগে, ৩০ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ৩ সদস্য পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয়। ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিল বিজিপির ১৭৯ জন সদস্য। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছে। তাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) সংঘর্ষ শুরু হয়। এর জেরে ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে পালিয়ে আসে বিজিপিসহ ৩৩০ জন। যার মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য ও ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এদের ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :