বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরও ১২ সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এ নিয়ে ৩ দিনে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে ২৮ জন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে নতুন করে ওই ১২ জন বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন। বিজিবির সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে নতুন করে ১২ জন পালিয়ে আসেন। এর মধ্যে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার রেজুপাড়া সীমান্ত দিয়ে দুজন এবং জমছড়ি সীমান্ত দিয়ে ১০ জন প্রবেশ করে। এই ১২ জনের মধ্যে বিজিপি ও সেনা সদস্য রয়েছে। তবে কোন বাহিনীর কতোজন সদস্য তা এখন বলা যাচ্ছে না। এদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নিয়ে বিজিবি তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এ নিয়ে গত ৩ দিনে নতুন করে ২৮ জন পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। যেখানে সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশফাড়ি সীমান্ত দিয়ে এই ২ সেনা সদস্য পালিয়ে আসেন।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে আসেন বিজিপির আর ১৪ জন সদস্য। নতুন করে আসা ২৮ জনই নাইক্ষ্যংছড়ি সদরে ১১ বিজিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওখানে আগে থেকে ১৮০ জন আশ্রয়ে রয়েছেন। এ নিয়ে মোট ২০৮ জন ওখানে রয়েছেন।
আগে থাকা ১৮০ জনের মধ্যে গত ৩০ মার্চ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর তিন সদস্য নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
এর আগে ১১ মার্চ আশ্রয় নেন আরও ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য। কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন। যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :