ঈদের ছুটিতে বরিশালে বেড়াতে এসে আড়িয়াল খাঁ নদে ডুবে ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুই চাচাতো বোনসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকাল ও দুপুরে তাদের লাশ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
তারা হলো—মুলাদী উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের গলইভাঙ্গহা গ্রামের মাহমুদ হাসানের মেয়ে হাবিবা হাসান অর্পা (১৭), হাসানের ছোট ভাই মো. বাবুর মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা হাফসা (১৩) এবং মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের দক্ষিণচর এককরিয়া গ্রামের মনির খানের ছেলে রায়হান খান (১১)।
মুলাদী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘গত রবিবার মুলাদী উপজেলার আড়িয়াল খাঁ নদে গোসল করতে নামে অর্পা ও হাফসাসহ চার বোন। স্রোতের টানে চার বোন তলিয়ে যাওয়ার সময় অদূরে থাকা মাহমুদ হাসান দুজনকে টেনে তোলেন। কিন্তু অর্পা ও হাফসা নিখোঁজ হয়। ওই দিন তাদের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চালানো হলেও খোঁজ মেলেনি। মঙ্গলবার সকালে গলইভাঙ্গা ঢালী বাড়ির লঞ্চঘাট থেকে ২০০ গজ পশ্চিমে অর্পার লাশ ভেসে ওঠে। খবর পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার পশ্চিমে বানীমর্দন লঞ্চঘাট এলাকায় হাফসার লাশ ভেসে ওঠে। একই প্রক্রিয়ায় পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। স্বজনরা জানিয়েছেন, ঈদে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল তারা। সাঁতার না জানায় নদে ডুবে নিখোঁজ হয়।’
মুলাদী থানার ওসি মো. জাকারিয়া বলেন, ‘পরিবারের কোনও অভিযোগ না থাকায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি সাপেক্ষে লাশ দাফনের জন্য দেওয়া হয়েছে স্বজনদের।’
হিজলা উপজেলা ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘ঈদে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল রায়হান। রবিবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির আরেকটি শিশুর সঙ্গে গজারিয়া নদীর রহমানের হাট খেয়াঘাট এলাকায় যায়। তখন রায়হান নদীতে পড়ে স্রোতের টানে তলিয়ে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে আইরখালী এলাকার চর থেকে রায়হানের লাশ উদ্ধার করেছে পরিবার। পরিবারের অভিযোগ না থাকায় লাশ দাফনের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।’
একুশে সংবাদ/বা.ট্রি/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :