বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ১ নং তেলিগাতী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে মিস্ত্রিডাঙ্গা গ্রামের কতিপয় প্রভাবশালী চক্র, মৎস্যঘের ব্যবসায়ী সরকারি ওয়াপদা ও রাস্তা কেটে পাইপ দিয়ে মৎস্যঘেরে উত্তোলন করছে লবণ পানি। রাতের আঁধারে কতিপয় ব্যক্তির মাছের ঘেরের স্বার্থে তুলছে এ পানি।
লবণ পানির কারণে কয়েকটি সংখ্যালঘু পরিবারের ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। বোরো মৌসুমে অনাবাদী রয়েছে ৩শত বিঘা ফসলি জমি। স্হানীয় কৃষক রুহুল আমিনসহ কয়েকজন জানান,স্থানীয় প্রভাবশালী কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে এই অনিয়ম করে যাচ্ছে, এ বিষয়ে বারংবার সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে জানালেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজরদারি। সাধারণ কৃষকের দাবি লবণ পানি উত্তোলন বন্ধ করে একাধিক ফসল উৎপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া হোক।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার পঞ্চকরন ইউনিয়নের হেরমা বাজার থেকে দেবরাজ বাজার অভিমুখে ওয়াপদা রাস্তার মধ্যস্হানে ফসলি জমির মধ্য দিয়া পাইপ বসিয়ে কতিপয় মৎস্যঘের ব্যবসায়ী লবণপানি উত্তোলন করছে দীর্ঘদিন ধরে। এ বেড়িবাঁধের পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে ২টি স্লুইস গেট। স্হানীয় কয়েকজন ফসলি জমির মালিক লবণপানি উত্তোলন বন্ধের দাবি করলেও হচ্ছে না কোন প্রতিকার। মিস্ত্রিডাঙ্গা গ্রামের কৃষক রুহুল আমিন খান, আব্দুল বারেক, অমল হালদার,শুধিত হালদার, শ্যাম হালদার,মোঃ বাবুল জানান, এবারে আমন,ইরি ধানের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে, লবণাক্ততার কারণে শতকরা ৭৫ ভাগ জমি অনাবাদী রয়েছে।
খুবই দুর্বিসহ জীবন পার করছেন কতিপয় কয়েকটি সংখ্যালঘু কৃষক পরিবার।প্রশাসনিকভাবে জোড়ালো পদক্ষেপ নিয়ে লবণপানি প্রবেশ বন্ধ হলে তারা অনাবাদি জমিতে ফসল উৎপাদন করতে পারবে।
তেলিগাতী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোরশেদা খানম বলেন, লবণপানি প্রবেশ বন্ধ করতে না পারলে, ফসল উৎপাদন সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় উর্ধতন প্রশাসনকে একাধিকবার অবহিত করা হয়েছে। কয়েকবার প্রশাসনের সহযোগিতায় পাইপ অপসারণ করেছি। পরবর্তীতে রাতের আধারে আবার পাইপ বসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ কৃষি কর্মকর্তা আকাশ বৈরাগী বলেন, অভিযোগ পেলে ঘটনাস্হল পরিদর্শন করবো,এ লবণপানি উত্তোলন বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করবো।
এ বিষয়ে বাগেরহাট জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল বিরুনী জানান,তেলিগাতী ইউনিয়নে বেড়িবাঁধ কেটে পাইপ বসানোর বিষয়ে আমি অবহিত নই।ঘটনাটি শুনলাম তবে তদন্ত সাপেক্ষে সত্যতা পেলে পাইপ অপসারণের জন্য তাদেরকে নোটিস করা হবে,সরকারি ওয়াপদা কেটে পাইপ বসানোর কোন বৈধতা নেই।প্রয়োজনে আমি নিজে সরেজমিনে যাবো এবং বিধিমোতাবেক ব্যবস্হা গ্রহন করবো।
একুশে সংবাদ/এস কে
আপনার মতামত লিখুন :