নেত্রকোনার মদনে পাবলিক হল মাঠে বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মেলায় প্রাণী নিয়ে আসা খামারী দের বিভিন্ন স্টাইল ঘুরে দেখেন জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়া। এ মেলায় পশু পাখি নিয়ে আসা খামারিরা অভিযোগের সুরে বলেন দায়সারাভাবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তাদের দাবী পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রেও পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে।
জানা যায়, দুই লাখ উনপঞ্চাশ হাজার টাকা বাজেটে এ মেলার আয়োজন করে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল। প্রখর রোদের মধ্যে মেলার স্টলে কোনো ফ্যানের ব্যবস্থাও না করায় বিদেশি জাতের ফিজিসিয়ান, অস্ট্রেলিয়ান গরুসহ পশুপাখি ক্লান্ত হয়ে যেতে থাকে। ষাড় নিয়ে আসা ছোট্টন মিয়া ও হৃদয় মিয়া বলেন, ‘প্রচণ্ড রৌদ্রের মধ্যে ছিল আমার একটি বিদেশি গরু। ৩০ মিনিট যেতে না যেতেই গরুটি গরমের কারণে হাঁপিয়ে ওঠে। ছিল না ফ্যানের ব্যবস্থা। পরে মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই মেলা বন্ধ হয়ে যায়।’ একই অভিযোগ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সবার। পর্যাপ্ত বরাদ্দ থাকলেও আয়োজনের বেশ কিছু অসংগতি নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেলায় ৫০টি স্টল থাকার কথা থাকলেও স্টল ছিল মাত্র ১৬ টি।
পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে পরিচিত দেখে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগও উঠেছে। রেজাউল নামের আরেকজন বলেন, অফিসের সঙ্গে পরিচয় নাই,তাই কোনো সুবিধা নেই। ভালো কিছু করে এখানে পুরস্কার পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নাই। এখানে ফলাফল করা হয়েছে চেনা মুখ দেখে। বাজেট তো ভালোই পেয়েছে শুনলাম, তাহলে মেলার এই অবস্থা কেন?’ এ মেলায় পুরস্কার নির্ধারণ করা হয়েছে তিন ক্যাটাগরিতে। এ ছাড়া বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে আরও তিনটি। সব মিলে ১২ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম পুরস্কার ২৯০০, দ্বিতীয় ২৪০০ ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ১৯০০ টাকা দেওয়া হয়।
পরে অখ্যাত কোম্পানির একটি বালতি ও গরু খামারীদের ৩০০ টাকা, ছাগল খামারীদের ২০০ টাকা ও হাস মুরগী ও পাখী খামারীদের ১০০ টাকা দিয়ে বিদায় করা হয় অংশগ্রহণকারীদের। মেলায় দর্শনার্থী না থাকায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। বরাদ্দের একটি বড় অংশ উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তাইরান ইকবালের পকেটে গেছে বলেও অভিযোগ করছেন খামারিরা।
এসব বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ তাইরান ইকবাল বলেন, সকল কিছু সত্য নয়। প্রাণী সম্পদ প্রদর্শনী মেলা সাফল্য মন্ডিত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :