নাটোরের লালপুরে এক গৃহবধূর সাথে দুই সন্তানের জনক এমদাদুলের দীর্ঘদিন থেকে অবৈধ সম্পর্ক চলে আসছিল। এক পর্যায়ে গৃহবধূ মনি খাতুন বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে এমদাদুল পালিয়ে যায়।
জানা গেছে, একই গ্রামের বাসিন্দা তারা দু’জন। দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে বিষয়টি জানাজানি হলে এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন এমদাদুল ইসলাম (৪২)। পরে বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় তাকে অপহরণের পর কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে মনি খাতুন (২৭) নামে সেই গৃহবধূর বিরুদ্ধে।
নাটোরের লালপুর উপজেলার উত্তর লালপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে থানায় মামলা হলে মনি খাতুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদিকে এমদাদুলকে গুরুতর আহত অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি রামানান্দপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই সন্তানের বাবা এমদাদুল পেশায় রাজমিস্ত্রী। তিনি একই গ্রামের মনি খাতুনের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। ৬ মাস আগে তাদের আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন স্থানীয়রা। সে সময় এক সপ্তাহের মধ্যে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান এমদাদুল।
ঈদে বাড়ি ফেরার পর বৃস্পতিবার সকালে গৃহবধূ মনিসহ তিন-চারজন এমদাদুলকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। এরপর লালপুর পুরোনো বাজার এলাকায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় তিনি চিৎকার দিলে তারা পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
একুশে সংবাদ/হ.ক.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :