রুমা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি, মসজিদে হামলা, পুলিশ ও আনসারের অস্ত্র ও টাকা লুটের মামলায় আরও সাতজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাদের মধ্যে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভান নুন নোয়ামও (৩৩) রয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবানের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ এস এম এমরান তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাকিরা হলেন- বান্দরবানের রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা লাল নুন নোয়াম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান (৩২), লাল মিন বম (৫০) এবং বান্দরবান সদর উপজেলা লাইমি পাড়ার বাসিন্দা ভান বিয়াক বম (২৩)।
পুলিশ জানায়, সোমবার বিকেলে রুমা সদরে যৌথ অভিযানে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্দেহভাজন সদস্য হিসেবে এ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের পুলিশি পাহারায় রুমা সদর থেকে এনে বান্দরবান আদালতে তোলা হয়।
বান্দরবান আদালতের পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রিয়েল পালিত বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সাত আসামিকে আদালতে তোলা হয়। তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পুলিশ জানায়, সোমবার (২২ এপ্রিল) রুমা উপজেলার বিভিন্ন পাড়ায় অভিযান চালিয়ে রুমার ছাত্রলীগ শাখার সভাপতি ছাড়াও মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা লাল নুন নোয়াম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান (৩২), লালমিন বম (৫০) এবং বান্দরবান সদর উপজেলা লাইমি পাড়ার বাসিন্দা ভান বিয়াক বমকে (২৩) আটক করে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় তাদের রুমা থানায় সোপর্দ করা হয়।
এ নিয়ে রুমা ও থানচির ৩ ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের মামলায় মোট গ্রেফতারের সংখ্যা ৭৮ জনে দাঁড়ালো।
এদিকে, রুমা শাখার ছাত্রলীগের সভাপতিকে গ্রেফতার ঘটনার পর সংগঠনের গঠনতন্ত্র বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থি, অপরাধমূলক ও মর্যাদা ক্ষুণ্ন এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে সভাপতি ভান নুন নোয়াম বমকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি অং হাই সিং পুলু ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মানিক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :