নরসিংদীর মাধবদীতে প্রেমিকাকে হত্যার দায়ে প্রেমিক দীন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করে আদালতের বিচারক। মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল দুপুরে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শামীমা পারভীন এই রায় প্রদান করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, নিহত খাদিজা বেগম মাধবদীর একটি কারখানার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বামী সন্তান না থাকায় নিহত খাদিজা বেগম মাধবদী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন। কাজের সুবাদে দীন ইসলাম নামে এক শ্রমিকের সাথে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে খাদিজা বাসায় যাতায়াত শুরু করেন দ্বীন ইসলাম। এরই মধ্যে খাদিজা বিয়ের জন্য দ্বীন ইসলাম চাপ দিলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে মতবিভেদ দেখা দেয়।
এরই মধ্যে ২০১৮ সালের ১৩ মে খাদিজার বাসায় তার লাশ পাওয়া যায। এ ঘটনায় নিহতের মা আলিমুন্নেছা মাধবদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত ও মোবাইল ট্রাকিং এর সূত্র ধরে প্রেমিক দ্বীন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর দ্বীন ইসলাম হত্যাকান্ডের কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালতে বিচারক অভিযুক্ত প্রেমিক দ্বীন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এ পি পি) এড. অলিউল্লাহ জানায়, নিহত থাদিজার বিয়ের কিছুদিন পরই তার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। কাজের সুবাদে মাধবদী থাকতো। পরে দীন ইসলামের সাথে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তারা এক সাথে থাকা শুরু করেন। বিয়ের জন্য চাপ দিলেই বিপত্তি দেখা দেয়। ২০১৮ সালের ১৩ মে খাদিজার বাসায় এসে খাদিজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার করে লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সন্দেয়াতিতভাবে প্রমানিত হওয়ায় অভিযুক্ত দ্বীন ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। একই সাথে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড দেয়া হয়। অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ড দেযা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :