গরমে বেড়েছে ডাবের চাহিদা, বেড়েছে দাম
গত কয়েকদিনের তীব্র গরমে ফরিদপুরে ডাবের চাহিদা বেড়েছে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দাম।
এখন ১০০ টাকার নিচে বাজারে কোনো ডাব নেই। এ দামে যেগুলো মিলছে সেগুলো ছোট আকারের। আর মাঝারি ও বড় সাইজের একেকটি ডাবের দাম ১০০-১২০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। বিক্রেতারা বলছেন, গরমে ডাবের চাহিদা তুঙ্গে। সেই তুলনায় বাজারে সরবরাহ কম। সবমিলে এমন ঊর্ধ্বগতি।
বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল থেকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী, মধুখালী,আলফাডাঙ্গা, সালথা, নগরকান্দা ফরিদপুর শহরসহ বিভিন্ন এলাকায় খোঁজে নিয়ে দেখা গেছে, বাজারে ছোট আকারের প্রতিটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। মাঝারি ও বড় আকারের ডাব বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
ফরিদপুর কোর্ট পাড় এলাকা থেকে কথা হয় আবদুল্লাহ নামে এক ডাব বিক্রেতার সাথে, তিনি বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৩০-৪০ পিচ ডাব বিক্রি করি। ডাবগুলো উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন বাড়ি থেকে ক্রয় করে আনা হয়। প্রতিটি ডাব পাইকারি হিসাবে ৫০-৬০ টাকা হারে কেনা হয়। খুচরা বিক্রি হয় ৮০-১২০ টাকায়। গরম হওয়াতে ডাবের চাহিদা বাড়ছে, মানুষ তৃষ্ণা মেটানোর জন্য ডাব খাচ্ছে। ডাবের দাম বেশি, অনেকে দাম বেশি শুনলে চলে যায়।
ডাব বিক্রেতা মোঃ আকাশ খা বলেন, ২০ বছর ধরে ডাব বিক্রি করছি। এত দামে ডাব বিক্রি এই প্রথম। ২০ বছর আগে যখন ডাব বিক্রি করি তখন সর্বোচ্চ বড় আকারের একটি ডাবের দাম ছিলো ২০ টাকা। এখন ১ টি ডাব বিক্রি হচ্ছে সর্বনিম্ন ৭০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১২০ টাকা দরে। গত কয়েক বছর ধরে ডাবে অকাল দেখা দিয়েছে। আমাদের এই অঞ্চলের কোন গাছে ডাব নেই। তবে চাহিদার তুলনায় ডাবের সরবরাহ কম বলে তিনি জানান। ফলে বর্তমান বাজারে ডাবের দাম বেড়েছে।
বোয়ালমারী রেলস্টেশনে ডাব খেতে খেতে মো. রবিউল নামের এক পথচারী বলেন, ঈদের আগে রমজানের মধ্যে ৮০ টাকা দিয়ে যে আকারের ডাব কিনেছিলাম; আজ সেই একই আকারের ডাম ১২০ টাকা দিয়ে খেলাম। গরমে আর কিছু তো সেভাবে খাওয়া যাচ্ছে না। সে জন্য দাম দিয়ে হলেও ডাব খেলাম।তিনি আরো বলেন, পানি পিপাসা মিটাতে বাইরের পানির থেকে ডাবই বেশি ভালো। ডাব শরীরের জন্যেও ভালো এই জন্যেই ডাব কেনা।
একই জায়গায় আজিজুল হক নামের এক ক্রেতা বেশ কিছুক্ষণ দামাদামি করে এক জোড়া ডাব কিনেছেন ২২০ টাকায়। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গরমের কারণে ডাবের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দোকানিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এক মাস আগেও এই সাইজের ডাব একটি ৭০ টাকায় কেনা যেত। এখন দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে।’
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :