চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুতে কার্গো জাহাজের ধাক্কার মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাহাজের ধাক্কায় ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। চট্টগ্রামের রেলওয়ে (জিআরপি) থানায় ক্ষতির এ পরিমাণের কথা জানিয়ে বুধবার ১ মে জিআরপি থানায় মামলা করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ২ মে জাহাজের মাস্টার, সুকানিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌপুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- এমভি সামুদা-১ জাহাজের কোয়ার্টার মাস্টার ফেরদৌস রহমান, সুকানি ইয়ামিন মোল্লা ও গ্রিজার শাহাদাত হোসেন।
চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌথানার ওসি একরাম উল্লাহ বলেন, “যেহেতু কালুরঘাট সেতু রেল সেতু, তাই মামলাটি জিআরপি থানায় হয়েছে। আর সেতুর পাটাতনের নিচের অংশ নদী হওয়ায় মামলার তদন্ত করবে নৌ পুলিশ।
“মামলায় জাহাজের মাস্টার, সুকানি, গ্রিজারম্যান ও চালকসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আমরা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছি।”
গত মঙ্গলবার দুপুরে ‘এমভি সামুদা-১’ নামে জাহাজটি কালুরঘাট ব্রিজে ধাক্কা দিয়ে আটকে যায়।
রেলওয়ে সেতু বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী লিমন মজুমদারের করা মামলায় বলা হয়, মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে ‘এমভি সামুদা-১’ নামে একটি খালি জাহাজ বেপোরোয়া গাতিতে এসে সংস্কারাধীন কালুরঘাট সেতুর ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানে ধাক্কা দেয়। এতে ব্রিজের ৯ ও ১০ নম্বর স্প্যানের আন্ডার স্ল্যাং গার্ডার, ওয়াকওয়ে, রেলিং ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে। এ ক্ষতির আনুমানিক মূল্য ৫০ লাখ টাকা।
ওসি একরাম উল্লাহ জানান, ৬৬ দশমিক ৬৫ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১১ মিটার প্রস্থের জাহাজটি দুর্ঘটনার পর নৌপুলিশ হেফাজতে নিয়েছে।
চট্টগ্রাম নগরীর সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম এ কালুরঘাট সেতু। সড়ক পথের সব ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে ট্রেনও চলাচল করে।
একুশে সংবাদ/বি.নি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :