প্রতীক বরাদ্দের পরই জমে উঠেছে মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা। উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। এতে ভোট যুদ্ধে নেমেছেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের ছেলে ও তার চাচাতো ভাই।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে নির্বাচনি উৎসবের আমেজ। পাড়া-মহল্লা থেকে শুরু করে শহর ও গ্রামগঞ্জের অলিগলি সেজেছে বর্ণিল সাজে। নির্বাচনি ব্যানার, পোস্টার আর ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে রাস্তাঘাট।
মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের বড় ছেলে কেন্দ্রীয় যুব লীগের কার্যকরী সদস্য আসিবুর রহমান আসিব খান। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী আসিব খানের চাচা জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পাভেলুর রহমান শফিক খান। তিনি লড়ছেই মোটরসাইকেল প্রতীকে।
তারা দু’জনই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারদের দ্বারে ঘুরছেন। চষে বেড়াচ্ছেন পাড়া-মহল্লা।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান প্রার্থী আসিবুর রহমান খান বলেন, আমাদের পরিবার মাদারীপুরে ১০২ বছর যাবত রাজনীতি করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আমার বাবা মাদারীপুর-২ আসনের ৮ বারের এমপি শাজাহান খান আমাকে মানুষের জন্যে উৎসর্গ করেছে। আমি তার কথার সম্মানে উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। আশা রাখি উপজেলাবাসী আমাকে নিরাশ করবে না। আমি শতভাগ জয়ী হবো।
অন্যদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী পাভেলুর রহমান শফিক খান বলেন, ‘আমি দু’বার সদরের চেয়ারম্যান ছিলাম। এবারও আমি প্রার্থী হয়েছি। জনগণ আমাকে বিফল করবে না। জনগণ আমার পাশে আছে, সৃষ্টিকর্তা সম্মান দেওয়ার মালিক। তাই আমার বিশ্বাস, আমি অনেক ভোটে বিজয়ী হব।
এদিকে নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সব ধরনের প্রস্তুতির কথা জানায় মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মারুফুর রশীদ খান। তিনি বলেন, নির্বাচনি আচারণবিধি মানার জন্যে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। যদি কোন প্রার্থী আচারণবিধি অমান্য করে, আর সেটা রির্টানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত দেয়, তার প্রয়োগ করতে জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুইজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত সদর উপজেলায় মোট ভোটার ৩ লাখ ২২ হাজার ৪২৬ জন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :