বরিশালের নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে বাস চালক ও হেলপারকে মারধর করাকে কেন্দ্র করে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ সময় ২ ঘণ্টা বন্ধ থাকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে যান চলাচল। এ ঘটনায় বাস মালিক সমিতির সভাপতির দিকে অভিযোগের তীর শ্রমিকদের। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার কথা জানান সভাপতি অসীম দেওয়ান। আর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।
শনিবার (৪ মে) দুপুরে দফায় দফায় শ্রমিকদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বরিশাল নতুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে। এ সময় ভাঙচুর করা হয় বেশ কয়েকটি বাস কাউন্টার।
শ্রমিকদের একাংশের অভিযোগ, শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাদারীপুর থেকে আসা একটি বাস নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনালে প্রবেশের সময় এক মোটরসাইকেল চালককে সাইড নিতে হর্ন দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল চালক ও তার বন্ধুরা বাস চালককে মারধর করে। তাকে বাঁচাতে অন্য শ্রমিক গেলে তাদেরও মারধর করা হয়। আহত হয় বাস চালক শাকিল ও হেলপার সৌরভ। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়ে দুভাগে বিভক্ত হয়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা দফায় দফায় বিক্ষোভ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে। অবরোধ করে ঢাকা বরিশাল মহাসড়ক। আহত হয় ১৫ শ্রমিক।
অভিযোগ উঠেছে, বাস মালিক সমিতির সভাপতি অসীম দেওয়ানের অনুসারীরা বাস শ্রমিকদের মারধর করেছে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেয় শ্রমিক নেতারা। তবে অভিযোগ মিথ্যা জানিয়ে বিশৃঙ্খলাকারীরা উভয়ই শ্রমিক ছিল বলে দাবি করে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার আহ্বান বাস মালিক সমিতির সভাপতি অসীম দেওয়ানের।
বরিশাল বাস মালিক সমিতির সভাপতি অসীম দেওয়ান বলেন, ‘নতুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে বিশৃঙ্খলাকারীরা সবাই বাস শ্রমিক ছিল। এ সংঘর্ষে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হোক।’
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকদের সংঘর্ষের ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২ ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর সাড়ে ৩ টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করেছে পুলিশ। এছাড়া টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
২০২৩ সালের ২১ জুলাই বরিশালের নতুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল দখলকে কেন্দ্র করে শ্রমিক ইউনিয়নের দুই গ্ৰুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। যাতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছিলেন।
একুশে সংবাদ/ স.টি./ এসএডি
আপনার মতামত লিখুন :