রাঙ্গুনিয়া তথা চট্টগ্রাম জুড়ে বৈশাখী তান্ডবে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। অনেকের ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, পড়ে গেছে গাছপালা। ঝড়ো বাতাসের কারণে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের একাধিক স্পটে উপড়ে পড়েছে গাছ, যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে আটকে গেছে দূরপাল্লার বাসসহ ছোট বড় যানবাহন।
উপজেলার প্রায় সব এলাকায় বসতঘর, গাছপালা, বৈদ্যুতিক মিটার, খুঁটি ও ট্রান্সফরমার ভেঙে পড়েছে। সোমবার (৬ মে) দুপুরের পর রাঙ্গুনিয়াসহ আশে-পাশের উপজেলায় তীব্র বৃষ্টি ও প্রবল ঝড়ো হাওয়ায় বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে, লন্ডভন্ড হয়েছে জনপদ।
উপজেলায় এবার অনাবাদি জমিসহ ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। বাম্পার ফলনে কৃষকরা ক্ষণিকের জন্য আনন্দিত হলেও বৈশাখী তান্ডবে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। গেল সপ্তাহে কিছু কিছু কৃষক ফসল ঘরে তুললেও পাকা-আধা পাকা ধানের বেশির ভাগেরই জমিতে থেকে গেছে। ফলে ক্ষেতের প্রায় ফসল নষ্ট হয়ে যায়।
সরেজমিনে দেখা যায়, কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়ার পোমরা বুড়িরদোকান, সৌদিয়াগেট, পৌরসভার কাদেরনগর, মডেল মসজিদ এলাকা, মরিয়মনগরের চৌমুহনী বিহার গেট এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের উপর গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে সড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানজট লেগে যায়। গাছ কেটে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এছাড়াও রাঙ্গুনিয়ার সাংসদ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডা হাছান মাহমুদের নির্দেশে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একই সাথে কাজ করছে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এই সময় গণমাধ্যমকে দেয়া এক বিবৃতিতে সাধারণ জনগণের পক্ষে অনেকেই বলেন, বিদ্যুতের কারণে অগ্নিকাণ্ড ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে বৈদ্যুতিক খুঁটি বা তার ছিড়ে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনা যাতে না হয় তাই উন্নত বিশ্বের মতো মাটির নিচে বৈদ্যুতিক তার নেওয়ার সরকারের কাছে এখন সময়ের দাবি।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :