নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার প্রধান-প্রধান সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা। এতে স্থানীয় ও টুরিস্টদের দূর্ভোগ চরমে।
উপজেলার মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থেকে থানা রোডে চলাচলরত যানবাহন ও যাত্রীদের চলাচল যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সোনারগাঁ মহিলা কলেজ ও শহীদ মজনু পার্ক সোনারগাঁও পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত বিজয়স্তম্ভ এর সামনের সড়কের করুণ অবস্থা। এই রাস্তা দিয়ে প্রতি দিন লাখো মানুষের চলাচল। পাশেই লোকও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন সোনারগাঁ জাদুঘর ও পানাম নগর ঈসাখাঁ রাজধানী রয়েছে।
এছাড়াও এখানে অনেকগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে ভূমি অফিস, খাদ্য ও প্রাণী সম্পদ, কৃষি দপ্তর, মডেল স্কুল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, সাব রেজিস্ট্রার দপ্তর, বৈদ্যের বাজার খেয়া ঘাটসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন, মডেল স্কুল এন্ড কলেজ, সোনারগাঁ পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, ঐতিহাসিক আমিনপুর ও শেখ রাসেল স্টেডিয়াম, বৈদ্যের বাজার এন এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় উলূকান্দীর মত বৃহৎ মাদ্রাসা, আনন্দ বাজার হাট এবং বারদীতে লোকনাথের মন্দির , প্রয়াত জ্যোতিবসুর পাঠাগার।
সামান্য বৃষ্টিতে ডুবে যায় রাস্তা আর প্রতি নিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। মিশুক ও অটোরিকশা রাস্তার মাঝে গর্তে পরে উল্টে যাচ্ছে। বয়স্ক ও শিশুদের নিয়ে এই সড়কে চলাচল সমস্যা চরমে তবুও দেখার কেউ নেই।
এই রাস্তায় চলাচল করা ট্রাক চালক বলেন, ‘ রাস্তার বেহালদশা গাড়ি নিয়ে চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তার এই অবস্থার কারণে গাড়ির অনেক ক্ষতি হচ্ছে। এই রাস্তায় একবার আসলে আর আসথে মন চায় না।’
স্থানীয় বাসিন্দা জালাল আহমেদ জানান, ‘কিছু দিন পূর্বে অটোরিকশা উল্টে গিয়ে মায়ের কোল থেকে পরে ছোট্ট শিশুটি লিঙ্গ কেঁটে যায়। স্কুলগামী বাচ্চাদের বহনকারি ভ্যান গর্তে পরে বাচ্চাদে স্কুলে যাওয়া বন্দ হয়েছে আনেকবার।’
পৌরসভার বাহিরে বৈদ্যের বাজার ও বারদী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়কটি বড়-বড় শিল্প কারখানা গড়ে উঠেছে , ঐ সমস্ত কারখানার ভারী যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত সড়ক না থাকায় এই রাস্তাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। তার পড়েও মেরামতের কোন প্রকার ব্যবস্থা নিচ্ছে না সড়ক ও জনপদ।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :