ফরিদপুরে ছেলেকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিন বেগমকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে ফরিদপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক অশোক কুমার দত্ত এ রায় দেন। তবে রায় দেওয়ার সময় আসামি হেলাল ও জেসমিন পলাতক ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, হেলাল শেখ ২০০৪ সালে জোৎস্না বেগম নামে এক নারীকে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে আজিজুল নামে এক প্রতিবন্ধী ছেলের জন্ম হয়। ২০১৩ সালের শুরুর দিকে হেলাল শেখ জেসমিন নামে আরেক নারীকে বিয়ে করেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর হেলাল ও জেসমিন জ্যেৎস্না বেগমের সঙ্গে দুর্ব্যবহারসহ নির্যাতন শুরু করেন। এতে অতিষ্ঠ হয়ে জ্যোৎস্না বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দেন। এ নিয়ে সালিশ বৈঠক হয়। ওই সালিশে জ্যেৎস্নার প্রতিবন্ধী ছেলে আজিজুল মাকে নির্যাতনের কথা প্রকাশ করে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৩ সালের ২৬ জুলাই কীটনাশক (ফুরাডন) খাইয়ে আজিজুলকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় পরদিন ২৭ জুলাই জ্যোৎস্না বেগম বাদী হয়ে স্বামী হেলাল ও সতিন জেসমিনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে আলফাডাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের ৩০ জুন এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিরাজুল ইসলাম আজিজুলকে হত্যার দায়ে বাবা হেলাল শেখ ও সৎ মা জেসমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আদালতের পিপি নাওয়াব আলী মৃধা বলেন, সন্তান হত্যার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। এ রায় পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে সুস্থতা আনতে সহায়তা করবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :