ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমান সুমনের পথসভায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা কয়েকটি গাড়ি, চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করে। এ সময় হামলায় ৩ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার (১৮ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ব্রাহ্মণকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কাজী জাফরউল্যাহ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমানের পথসভা চলছিল।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাউছার ভূঁইয়ার সমর্থকরা হামলা চালায়। এ সময় কয়েকটি মাইক্রোবাস ও চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। হামলায় আহত হন তিন জন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। পথসভায় মোখলেছুর রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘সন্ধ্যায় নির্বাচনী পথসভা শুরু হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সভার শেষ মুহূর্তে চেয়ারম্যান প্রার্থী কাউছার ভূঁইয়ার সমর্থকরা এসে হামলা চালায়। রাস্তার ওপরে রাখা কয়েকটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর করে। এরপর পথসভায় হামলা চালিয়ে চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করে। হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন মোখলেছুর রহমান।
ভাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাইফুর রহমান মিরন বলেন, ‘আমি বক্তব্য রাখছিলাম হঠাৎ করেই ভাঙচুরের শব্দ শুনতে পাই। অতর্কিতভাবে আমাদের গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে হামলা চালায় পথসভাস্থলে। সেখানকার চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করে। গাড়িতে রাখা একটি ব্যাগে টাকা ছিল সেগুলোও নিয়ে গেছে তারা।’
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমি নিজে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। গিয়ে দেখতে পাই মোখলেছুর রহমানের পথসভায় হামলা চালানো হয়েছে। কয়েকটি গাড়ি, চেয়ার ও মাইক ভাঙচুর করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হামলায় যারা জড়িত তাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হবে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।’
উল্লেখ, তৃতীয় ধাপে আগামী ২৯ মে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৫ জন ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :