৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ ২য় ধাপের নির্বাচনে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলায় প্রথমবার ভোটে দাড়িয়েই তিনজন পুরোনো মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন সারমিন আক্তার নামে এক গৃহবধু। তিনি হাঁস প্রতীকে ৩২ হাজার ৭৪৩ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা রকিবুল হাসান সারমিন আক্তারকে বে-সরকারীভাবে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসাবে ঘোষনা দেন।
সারমিন আক্তারের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রাণীশংকৈল উপজেলা মহিলা আ.লীগের সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন ফুটবল প্রতীকে ২৯ হাজার ১৭৫ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন। এছাড়াও সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহফুজা বেগম পুতুল কলস প্রতীকে ২৩ হাজার ৬৬৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় এবং বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম পদ্ম ফুল প্রতীকে ২১ হাজার ৮২৮ ভোট পেয়ে চুতর্থ হয়েছেন।
সমগ্র উপজেলা জুড়ে আলোচনা স্বামীর পরে স্ত্রীও হলেন জনপ্রতিনিধি। রাণীশংকৈল পৌরসভার ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে ৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন নব-নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সারমিন আক্তারের স্বামী মিঠুন রানা। মিঠুন রানা একই ওয়ার্ডের মহলবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।
এবারে তার স্ত্রী সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ব্যক্তি গৃহবধু থেকে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলেন। মিঠুন রানা পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তার স্ত্রী সারমিন আক্তার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের বাগানবাড়ী এলাকার ইকরামুল হকের মেয়ে। মিঠুন রানার সাথে দীর্ঘ চৌদ্দ বছর আগে বিয়ে হয় । সারমিন আক্তার পড়াশোনায় অক্ষর জ্ঞান সম্পূর্ণ বলে তার নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ্য করেছেন।
মিঠুন রানা জানান, হঠাৎ সিদ্ধান্তে তিনি তার স্ত্রীকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করিয়েছেন। তার স্ত্রী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে দাড়াঁবে এমন কোন প্রস্তুতি পূর্বে ছিল না। তবে রাণীশংকৈল উপজেলাবাসী তার স্ত্রীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করায় তিনি রাণীশংকৈলবাসীর প্রতি চির কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছেন।
নব-নির্বাচিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সারমিন আক্তার বলেন, ভোটারদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞ। সবোর্চ্চ চেষ্টা দিয়ে তিনি উপজেলাবাসীর বিপদে আপদে দাড়াবেন। এছাড়াও তিনি বলেন, তিনি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নই। হঠাৎ সিদ্ধান্তে তিনি ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :