মনোয়ার হোসেন (৩০) নামের এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক ৫টায় উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের কুমারখালী ব্রিজ ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মনোয়ার হোসেন ওই এলাকার মোঃ আব্দুস সালাম মোল্লা’র ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই জনকে আটক করেছে।
নিহত মনোয়ার হোসেনের ভাই আব্দুল মোমিন (২২) জানায়,‘কুমারখালী এলাকার প্রতিবেশী হায়দার হোসেন (২২), তার বাবা আশরাফ হোসেন (৪৮) ও মা হাসনা বেগম (৪০) এর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো।
বৃহস্পতিবার পূর্ব শত্রæতার জেরে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক হায়দার,আশরাফ ও হাসনা বেগম তার ভাই নিহত মনোয়ার হোসেনের পথ আটকায়। একপর্যায়ে আশপাশে মানুষজন না থাকায় সেই সুযোগে বাড়ি থেকে ধারালো দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তার ভাইকে এলোপাথারিভাবে কুপিয়ে জখম করে।
রক্তাক্ত অবস্থায় চিৎকার করলে তিনি এগিয়ে যান ভাইয়ের কাছে। সেখানে গেলে তার ওপরও অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এরপর স্থানীয় এক যবুকের সহযোগিতায় গুরুত্বর রক্তাক্ত অবস্থায় গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ভাইকে মৃতু ঘোষণা করেন।’
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সাগর হোসেন জানান,‘তিনি বাড়িতে শুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। হঠাৎ করেই চিৎকার শুনতে পান। তখন বাড়ি থেকে বের হয়ে দেখেন মনোয়ার হোসেন রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে এবং তার ভাই চিৎকার করছে। তখন একটি সিএনজি যোগে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।’
গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.মোঃ রাজিব হোসেন বলেন,‘মৃতু অবস্থায় হাসপাতালে মনোয়ার হোসেনকে নিয়ে আসা হয়েছিলো। তার বুকের বাম পাশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত হার্ট পর্যন্ত পৌছে গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে আঘাত হার্টে পৌছানো এবং অতিরিক্ত রক্ত খরন হওয়ার কারনে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়েছে।’
এ বিষয়ে গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ উজ্জল হোসেন জানান,‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আশরাফ হোসেন ও হাসনা বেগম নামের দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত হায়দার হোসেনকেও গ্রেফতারের তৎপরতা চলছে। মরদেহটি নাটোর মর্গে প্রেরণ করা হয়ছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :