বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝালকাঠির সুগন্ধা ও বিশখালী নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে দুই থেকে আড়াই ফুট উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।
রোববার (২৬ মে) সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে, থেমে থেমে পড়ছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যমতে, সকাল ১০টা থেকে ঝালকাঠিকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী পাড়ের মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। নদী তীরবর্তী আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা গবাদি প্রাণী ও আসবাবপত্র সরিয়ে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় জেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জেলায় ৮৮৫টি আশ্রয়কেন্দ্র ও ৬২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে ৩৭টি মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসের ৮টি উদ্ধারকারী দলকে।
এছাড়া নগদ ১৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা এবং জরুরি মুহুর্তে বিতরণের জন্য চারশ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও ৪২৪ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত আছে। তাৎক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ৬টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
একুশে সংবাদ/য.টি/সা.আ
আপনার মতামত লিখুন :