পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের ব্যাপক তাণ্ডবে ৭টি ইউনিয়নে কাঁচা বসতঘর, গাছপালা ও গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রাতভর তাণ্ডবের পরও ঝড়ো হাওয়াসহ দমকা বাতাস ও বর্ষণ অব্যাহত থাকে।
মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে বাতাস কিছুটা কমলেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। জোয়ারের পানিতে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদী ফুঁসে উঠায় উপকূলীয় এলাকাসহ উপজেলার নিম্নাঞ্চলসহ সদর এলাকা প্লাবিত হয়ে আছে।
উপজেলায় বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কসহ যোগাযোগ রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। এখনও থেমে থেকে দমকা ঝড়ো হাওয়া এবং অবিরাম বর্ষণ চলছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের কাঁচা বসতঘর, গাছপালা ও গবাদি পশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দশমিনা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠসহ ভবনের নিচতলা পানিতে ডুবে রয়েছে। ভবনের নিচতলায় স্টোর রুমের মধ্যে স্তূপ করে রাখা নতুন বইগুলো পানিতে ভাসছে। এদিকে তেঁতুলিয়া ও বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর বুক চিরে জেগে ওঠা ৭ নম্বর চরবোরহান ইউনিয়ন ৩-৪ ফুট পানিতে ডুবে আছে। ফলে ওই ইউনিয়নের ৩০ হাজার মানুষ গবাদিপশু নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে।
পানিতে ডুবে রয়েছে পাগলা বাজার, সেন্টার বাজার ও চর শাহ জালাল বাজারসহ কয়েকটি হাট-বাজার। এ ছাড়া শতাধিক পুকুর ও মাছের ঘের এবং ২০ হাজার একর জমির আউশ বীজতলা পানিতে ডুবে আছে। চরবোরহান ইউনিয়নে খুব দ্রুত পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দারা হাঁস-মুরগি ও গবাদিপশু নিয়ে নিজ বাড়িতে আটকে আছেন।
এ বিষয়ে চরবোরহান ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজির আহমেদ সর্দার বলেন, প্রতি বছরই প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে বেঁচে আছে এই ইউনিয়নের মানুষ। দীর্ঘ ১০বছর ধরে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য সরকারি আমলা ও রাজনৈতিক নেতাদের পেছনে ছুটেছি কোনো কাজ হয়নি।
তিনি আরও বলেন, বেড়িবাঁধ নির্মিত হলে চরবোরহান ইউনিয়নের মানুষ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেত। এদিকে উপজেলা সদরের দশমিনা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠসহ ভবনের নিচতলা পানিতে তলিয়ে গেলেও দেখার মত কেউ নেই। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ায় সমালোচনা চলছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :