AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী
দেবে গেছে বেইলি ব্রিজ

বান্দরবান-রুমা-থানচিতে যান চলাচল বন্ধ


Ekushey Sangbad
জেলা প্রতিনিধি, বান্দরবান
০৩:৩২ পিএম, ২৮ মে, ২০২৪
বান্দরবান-রুমা-থানচিতে যান চলাচল বন্ধ

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বান্দরবানের লাইমী পাড়ার একটি বেইলি ব্রিজের নিচের মাটি সরে দেবে যাওয়ায় বান্দরবান থেকে রুমা-থানচি সড়কে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। একইসঙ্গে ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের। মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল থেকে জেলা সদরের সঙ্গে দুই উপজেলার সড়ক যোগযোগ বন্ধ যায়।

থানচি বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ বেইলি ব্রিজটি পরিদর্শন করে জানিয়েছেন, ব্রিজের একপাশে গাইড ওয়াল ভেঙে গিয়ে এক পাশ দেবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ব্রিজটি। ফলে দুর্ঘটনা এড়াতে রুমা-থানচিতে সব ধরনের ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

মিলনছড়ি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ রবিন্দু চাকমা বলেন, ভারী বৃষ্টির ফলে মিলনছড়ি ক্যাম্প ও লাইমী পাড়ার মাঝামাঝি বেইলি ব্রিজের দক্ষিণ পাশের একাংশ দেবে যাওয়ার কারণে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

এর আগে সোমবার ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে থেমে থেমে ভারী বৃষ্টিপাত ও সঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি আকারের ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেছে বান্দারবানে। এতে বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ লাইনে গাছ ভেঙে পড়ে প্রায় ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জেলা সদর, থানচি ও রুমা উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিদ্যুৎবিহীন নগরীতে পরিণত হয়েছে পুরো বান্দরবান। পাশাপাশি দীর্ঘক্ষণ মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বান্দারবানের বিভিন্ন এলাকা।

এ দিকে খুঁটি উপড়ে গাছপালা ভেঙে জেলার আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়িতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালে কোনো প্রাণহাণির ঘটনা না ঘটলেও টানা বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।

বান্দরবান পৌরসভার মেয়র শামসুল ইসলাম বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী বাসিন্দাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। তবে অনেক পরিবার এখনও ঝুঁকি নিয়েও পাহাড়েই রয়ে গেছেন। তাদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা চলছে।’

জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে জেলায় এখন পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি।

 

একুশে সংবাদ/আ.টি/সা.আ

Link copied!