স্থানীয় সরকার, পল্লী ও উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জাতির পিতার সোনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ভিশন ২০৪১ নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ সরকার দীর্ঘমেয়াদি সকল পরিকল্পনায় যোগাযোগ, খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশসহ সবক্ষেত্রেই আমূল পরিবর্তন সাধন করছে যার জন্য বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের গর্বিত নাগরিক হবে।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সময় সামরিক শাসনামলের শোষণ বঞ্চনায় বাংলাদেশের স্বাস্থ্য, খাদ্য, শিক্ষাসহ সবক্ষেত্রেই ছিল শোচনীয় অবস্থা। খাদ্য ঘাটতির অবস্থা ছিল প্রকট । ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পরপরই সাড়ে তিন বছরের মাথায় বাংলাদেশ ঘাটতি পূরণ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে। যা পূর্বে ছিল অকল্পনীয় ব্যাপার। গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্য সেবা পৌছে দেবার অঙ্গীকার নিয়ে গঠিত হয় কমিউনিটি ক্লিনিক। স্বাস্থ্যসেবা ও জনগণের পুষ্টির মান হয় উন্নত। শিক্ষাখাতসহ গ্রামীণ অবকাঠামোয় আসে প্রভূত উন্নতি। ২০০৯ সালের পর থেকে বাংলাদেশের অপ্রতিরোধ্য অর্থনৈতিক যে অগ্রযাত্রার পথে সামিল হয়েছে তাতে বাংলাদেশকে নিয়ে পুরো বিশ্বের ধ্যান ধারনাই বদলে গেছে।
আজ (সোমবার) ২৮মে আরবান্ আইএনজিও ফোরাম এবং ডিপার্টমেন্ট অব ডিজাস্টার সায়েন্স এন্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত "৮ম আরবান্ ডায়লগ ২০২৪" এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি একথা বলেন৷
উন্নয়নের মূলস্রোতে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষদের নিয়ে আসার গুরুত্ব ব্যাখা করে মন্ত্রী বলেন, আমাদের উন্নত বাংলাদেশ হবে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনীতি, যে অর্থনীতিতে সবাই সারথি হবে। কেউ পিছিয়ে থাকবে না। এমডিজির লক্ষ্য বাস্তবায়নে ঈর্ষনীয় সাফল্যের পর বাংলাদেশ সরকার এখন এসডিজির লক্ষ্য পূরনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দীর্ঘমেয়াদে একটি সুখী টেকসই স্বনির্ভর বাংলাদেশ গঠনে নেদারল্যান্ড সরকারের সহায়তায় প্রনয়ণ করা হয়েছে বদ্বীপ পরিকল্পনা -২১০০।ডিজিটালাইজেশন, ইন্টারনেট, সাবমেরিন ক্যাবল ও বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর ব্যবহার বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় এনেছে গতি।
যথাযথ নগরায়ন একটি বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক উন্নতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন যেমন বেশি মানুষকে উন্নয়নের মূলস্রোতে সামিল করছে, তেমনি নগরায়নের জন্য তৈরি করছে বহুমাত্রিক চ্যালেঞ্জ। ঘনবসতি ও স্বল্প জায়গার কারণে উদ্ভুত সমস্যা মোকাবিলায় সরকার বহুমুখী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
রেজিলিয়েন্ট সিটিজ টোয়ার্ডস্ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন- এই শিরোনামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত "৮ম আরবান ডায়লগ"-এর সমাপনী অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ.এস.এম মাকসুদ কামাল।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :