ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে রাতের খাবার খেয়ে স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন রাবেয়া খাতুন (২৩)। কিন্তু শেষরাতে ঘরের সামনের টয়লেটে পাওয়া যায় তার লাশ। স্বামীর দাবি, জিনে পছন্দ করায় পূর্বঘোষণা দিয়েই মেরে ফেলেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। শনিবার ভোরে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নের ঈশ্বরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মো. আবুল খায়েরের স্ত্রী। তিন বছর আগে পার্শ্ববর্তী রাজিবপুর ইউনিয়নের বৃ-দেবস্থান গ্রামে তিনি বিয়ে করেন। তাদের দুই সন্তান রয়েছে।
এক বছর ধরে তার স্ত্রী রাবেয়া খাতুনকে জিনে উত্ত্যক্ত করে আসছে। এ কারণে বেশির ভাগ সময় তিনি অসুস্থ থাকতেন। ময়মনসিংহ শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার চিকিৎসা চলছিল।
গৃহবধূর স্বামী আবুল খায়ের জানান, শনিবার ফজরের নামাজ পড়ার জন্য রাবেয়া ঘর থেকে বের হন। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও না ফেরায় তিনি বাচ্চাদের বিছানায় রেখে বাড়ির সামনের অংশে খুঁজে দেখেন। পরে বাড়ির উঠান সংলগ্ন টয়লেটে গিয়ে দেখতে পান তার স্ত্রী পড়ে আছেন। তখন তিনি বাড়ির অন্যদের ডাকেন। মৃত্যুর খবর পেয়ে মেয়েকে দেখতে আসেন মা সফুরা খাতুন।
তিনি বলেন, সে গত শুক্রবার বলেছে জিন তাকে যেকোনো সময় নিয়ে যাবে। এতে কেউ যেন কোনো আপত্তি না করে। এ অবস্থায় তিনিও মনে করছেন জিন তার মেয়েকে হত্যা করেছে। এতে তার কোনো অভিযোগ নেই। বড় বোন খাদিজা খাতুনও বিশ্বাস করেন, তার বোনকে জিন মেরে ফেলেছে।
ঈশ্বরপুর গ্রামের স্থানীয়রা বলেন, বিভিন্ন কারণে মৃত্যু হতে পারে। কিন্তু বিজ্ঞানের এ যুগে জিনে মানুষ মেরে ফেলার গল্প অবিশ্বাস্য। গৃহবধূর চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্রে তার স্পন্ডেলাইটিস ও ট্রমাটাইজ হওয়ার লক্ষণ ছিল বলে উল্লেখ করা রয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন,গৃহবধূর লাশ সুরতহাল করার সময় গলায় দাগ পাওয়া গেছে। তাই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে ময়নাতদন্তের জন্য গৃহবধূর লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :