বাগেরহাটের মোংলায় এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় পাঁচ আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ জুন) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার কর হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে দুপুরেই তাদের বাগেরহাট জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।এর আগে, এদিন সকালে মোংলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সাতজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন ওই নারীর বড় বোন। তারা দুই বোন মোংলা পৌর শহরের মিয়াপাড়া এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
মামলার সাত আসামিরা হলেন, মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাঁশতলা গ্রামের রুমান ফকির, রানা শেখ, মো. সুমন, মিজানুর মোছাল্লী, মো. জামাল, মো. আওয়াল ও রাসেল শেখ। এদের মধ্যে জামাল ও আউয়াল পলাতক রয়েছে।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ওই নারীর সঙ্গে ১০/১২ দিন আগে মামলার আসামি রুমান ফকির ও রানা শেখের মোবাইলে পরিচয় হয়। পরিচয়ের একপর্যায়ে সোমবার (৩ জুন) আসামিরা ওই নারীর সঙ্গে মোংলা সরকারি কলেজের সামনে দেখা করে। পরে ওই নারীকে রাত ১০টার দিকে মোটরসাইকেল করে সুন্দরবন ইউনিয়নের উত্তর বাঁশতলা গ্রামের একটি মৎস্য ঘেরে নিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে রাত ৩টার দিকে তাকে চাঁদপাই ইউনিয়নের মৌখালী ব্রিজের রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা। ওই পথে হুমায়ুন নামে এক মোটরসাইকেল ড্রাইভার ওই নারীকে দেখে তাকে উদ্ধার করে চোখ ও মুখের বাঁধন খুলে দেয়। পরে ওই নারী তার বোনকে ফোন দিলে তাকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ওই নারীর বোন বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে মোংলা থানায় আজ সকালে মামলা করেন। মামলার পর পাঁচ আসামিকে দুপুরে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের বাগেরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য দুই আসামি পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :