বাগেরহাটের শরণখোলায় দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষে ১২ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার শরণখোলা বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই প্রার্থী পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।
আহতরা হচ্ছেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি আনারস প্রতিকের প্রার্থী রায়হান উদ্দিন আকন শান্তর কর্মী টুলু তালুকদার, ইমরান উদ্দিন শুভ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমান, আলমগীর শিকদার, ওবায়দুল আকন, ময়নুল ইসলাম এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান মিলনের কর্মী আসাদ কবিরাজ, মাসুম তালুকদার, শাহিন গাজী, মাহাবুব মোল্লা, মেহেদি হাসান, জলিল হাওলাদার। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আসাদ কবিরাজ, ওবায়দুল আকন ও খান মতিয়ার রহমানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
আনারস প্রতিকের প্রার্থী রায়হান উদ্দিন আকন শান্ত বলেন, নির্বাচনী প্রচারনার অংশ হিসেবে আমার কর্মী-সমর্থকরা শরণখোলা বাজারে একটি পথসভা করছিল। এসময় দোয়াত কলমের প্রার্থী আছাদুজ্জামান মিলন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে তার সন্ত্রাসী বাহীনি নিয়ে ওই পথসভায় হামলা চালায়। ওই হামলায় আমার ছয়জন কর্মী আহত হয়।
পাল্টা অভিযোগ করে দোয়াত কলম প্রতিকের প্রার্থী আছাদুজ্জামান মিলন বলেন, দুই দিন আগে আনারস প্রতিকের প্রার্থীর সমর্থকদের হামলায় আমার কর্মী রফিকুল ও হারুণ অল রশীদ আহত হয়। ওই আহত কর্মীদের দেখতে শরণখোলা বাজারে পৌছালে দেখতে পাই সেখানে উপজেলা বিএনপির সভাপতি খান মতিয়ার রহমানের নেতৃত্বে একটি সভা হচ্ছিল। কিসের সভা জানতে চাইলেই আনারস প্রতিকের প্রার্থী রায়হান উদ্দিন শান্ত‘র ছোট ভাই ইমরান উদ্দিন শুভ‘র নেতৃত্বে কয়েকজন আমাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমার ৬ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
মিলন আরও বলেন, নির্বাচন শুরু হওয়ার পর থেকে আনারস প্রতিকের প্রার্থী ও তার সমর্থকরা আমাদের উপর নানাভাবে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে সাউথখালী ইউনিয়নে আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকী দিয়েছে। কয়েক জনের উপর হামলাও হয়েছে। সুষ্ঠ নির্বাচনের সার্থে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেন এই প্রার্থী।
এদিকে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজিত পরিবেশ সৃষ্টি হলে রাতেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসিকুর রহমান শরণখোলায় এসে উভয় পক্ষের সাথে কথা বলে পরিস্থিত শান্ত করার চেষ্টা করেন।
শরনখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান বলেন, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। ওই এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে। দুই পক্ষের কেউ এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ করেনি।তারা হয়ত নিজেদের মধ্যে বোঝা পড়ার চেষ্টা করছেন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :