মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে গরুর খামারের পাশাপাশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ছাগলের খামারও। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবারের কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে উপজেলায় খামার ও বাড়িতে পাঁচ হাজার ৮৯৬টি গরু, ৪ হাজার ২১৫টি ছাগল, এবং নয়শত ৭৬টি ভেড়া লালন-পালন করা হয়েছে।
উপজেলার অধিকাংশ পরিবারই কৃষি কাজের সাথে নির্ভরশীল। তাই তারা কৃষি কাজের পাশাপাশি দেশীয় পদ্ধতিতে বিভিন্ন জাতের গরু-ছাগল লালন-পালন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। অনেকে বাড়িতেও দেশীয় পদ্ধতিতে ছাগল পালন করে আর্থিক স্বচ্ছলতার মুখ দেখছেন। এছাড়াও উপজেলায় রয়েছে বড় কয়েকটি গরুর খামার।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে হরিরামপুরে গত বছরে গরুর সংখ্যা ছিল চার হাজার ১৯২টি, ছাগল ছিল ১ হাজার ২৩টি, এবং ভেড়ার সংখ্যা ছিল ছয়শত ৭৮টি।
কিন্তু এ বছরে তা বেড়ে হয়েছে, গরু পাঁচ হাজার ৮৯৬টি, ছাগল ৪ হাজার ২১৫টি, এবং ভেড়ার সংখ্যা হয়েছে নয়শত ৭৬টি।
উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের উজান পাড়া গ্রামের সহিদ জানান, কৃষিকাজের পাশাপাশি গরু-ছাগল পালন করি। এতে বছর শেষে ভালো কিছু টাকা ক্যাশ পাওয়া যায়।
উপজেলার গালা ইউনিয়নের মধ্যে ধুসরিয়া গ্রামের নাজমুল বলেন, কৃষি কাজের পাশাপাশি প্রতি বছরই গরু লালন-পালন করি। এ বছরেও করছি। এবছরে ১টি ষাঁড় পালন করছি। গরুর নাম রেখেছি লালু আশা করছি দাম এবং চাহিদা থাকলে এবার ভালো দামে বিক্রি করতে পারবো।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, এই উপজেলার অধিকাংশ মানুষই কৃষি কাজের সাথে সম্পৃক্ত। কৃষিকাজের পাশাপাশি পশু পালনে লাভবান হওয়াই মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। তাই আগের তুলনায় গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন বেড়েছে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :