ভোলার লালমোহন উপজেলায় সাহিদা বেগম নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নুন বেপারী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গৃহবধূর বাবা মোস্তফা মিয়া বলেন, ‘প্রায় সাত বছর আগে ঐ বাড়ির আলী আহমদের ছেলে ইউসুফের সঙ্গে আমার মেয়ে সাহিদার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ৩ বছর ও এক বছর বয়সী দুই ছেলে সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই জামাতা ইউসুফ টাকা-পয়সার দাবিতে প্রায় আমার মেয়েকে মারধর করতো। এ নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকও হয়েছে। দুপুরে আমার জামাতা ইউসুফ কল দিয়ে বলেন আমার মেয়ে নাকি কথা বলছে না। পরে আমরা মেয়ের স্বামীর বাড়িতে গিয়ে দেখি সে মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। আমাদের ধারণা- জামাতা ইউসুফ ও তার পরিবারের লোকজন আমার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এদিকে, এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন গৃহবধূ সাহিদা বেগমের স্বামী ইউসুফ ও শ্বশুর আলী আহম্মদ।
তবে সাহিদার শাশুড়ি জুলেখা বেগম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকে পেটের ব্যথায় কাতরাচ্ছিল সাহিদা। কয়েকবার বমিও করেছিলো। শুক্রবার হওয়ায় সময় মতো স্থানীয় চিকিৎসক আসেনি। ঐ পেট ব্যথার কারণেই সাহিদার মৃত্যু হতে পারে।
এ বিষয়ে লালমোহন থানার ওসি এসএম মাহবুব উল আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ঐ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :