মাদারীপুরের ডাসারে সৈয়দা শান্তি নাহার (৭০) নামে এক বৃদ্ধা মায়ের সম্পত্তি ও ব্যাংকে থাকা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বড় ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বৃদ্ধা সৈয়দা শান্তি নাহার ছেলেকে আসামি করে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পূর্ব ডাসার গ্রামের শান্তি নাহার নামে এক বৃদ্ধা তার বড় ছেলে সৈয়দ জানে আলম স্বপনের কাছে ছিলেন। অসুস্থ মাকে দেখশোনা করার কথা বলে তার কাছে বেশ কিছুদিন রাখেন।
এসময় মায়ের নামে থাকা মাদারীপুর শহরের একটি বাড়ির জমি স্বপন লিখে নিয়েছেন। এছাড়াও তার জমি বিক্রির ব্যাংকে থাকা অর্থ আত্মসাৎ করছেন তিনি। বৃদ্ধা মায়ের অভিযোগ, সম্পত্তি ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে তিনদিন খাবার না দিয়ে বড় সন্তান ও তার স্ত্রী বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেন, একাধিক বার তাকে নির্যাতন করা হয়েছে।
এই ঘটনায় প্রতারণা করে সম্পত্তি ও টাকা পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে মাদারীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন বৃদ্ধা। মামলায় বড় সন্তান সৈয়দ জানে আলম স্বপন ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা এবং তার নাতনী সৈয়দ রাহুল আলম শুভকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরে তার মেজ ছেলে সৈয়দ মুক্তি তার মাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা করেন।
ভুক্তভোগী সৈয়দা শান্তি নাহার বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে আমার ছেলে সৈয়দ জানে আলম ও তার স্ত্রী কাজী শিবলী আক্তার রুমা জায়গাজমি অর্থ সম্পদ আত্মাসাৎ করে, আমাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমার দরকার নেই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার সরকারের কাছে চাই।
নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধার দেবর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আলমগীরর জানান, আমার ভাতিজা স্বপন আমার সামনে ওর মাকে মারধর করেছে।এমন কুলাঙ্গার সন্তান আমি জীবনে দেখিনি। ওর দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়ার উচিত।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সৈয়দ জানে আলম স্বপন বলেন, এ ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমার মা মিথ্যা কথা বলছে। জমি বিক্রি করে তার টাকা তাকে দেওয়া হয়েছে। সে তার টাকা তুলে সে চিকিৎসার জন্য খরচ করছে। তার জমি বিক্রির বাকি টাকা তার একাউন্টেই আছে।
ডাসার থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, বৃদ্ধা মাকে পুলিশের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তা দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে ডাসার উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ আফরোজ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। মাকে তার সন্তান মারধর করবে এটা সভ্য সমাজে মেনে নেওয়ার মত নয়। অভিযুক্ত সন্তানের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :