কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র ৪ দিন, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ পৌরসভার কামার পট্রিতে দা, ছুরি, বটি, চাপাতি, নারিকেল কোরানি সহ অন্যান্য দেশীয় জাতের লোহার জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামারেরা।ঈদের এই সময়ে ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে রাতদিন একাধারে তারা এসব হাতিয়ার তৈরিতে কাজ করছেন। কিন্তু বিগত বছরগুলোর মত এ বছর ক্রেতার তেমন চাপ নেই বললেই চলে।
সরেজমিনে আজ সকালে মোরেলগঞ্জ পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের কামার পট্রিতে পুরোদমে পশু জবাইয়ের ছুরি, চামড়া ছাড়ানোর চাকু, নারিকেল কোরানি, মাংস কাটার চাপাতিসহ বিভিন্ন লোহার তৈরি জিনিসপত্র তৈরিতে ব্যস্ত রয়েছেন কামারেরা। দেখে মনেহয় যেন দম ফেলার সময় নেই তাদের।
স্থানীয় কয়েকজন কর্মকার জানান, বছরের অন্য সময়ের চেয়ে কুরবানি ঈদে তাদের আয় রোজগার অনেক বেশি হয়। কিন্তু এবার ক্রেতার চাপ নেই বললেই চলে। এবার মোরেলগঞ্জে প্রতিটি ধারালো দা বিক্রয় হচ্ছে ৪০০-৬০০ টাকা, ছুরি ৫০০-৯০০ টাকা, চাপাতি ৬০০-১০০০ টাকা, চামড়া ছাড়ানোর চাকু ২৫০-৩০০ টাকা, নারিকেল কোরানি ৩০০-৪০০ টাকা, মাংস কাটার বটি ৪৫০-৮০০ টাকা।
তবে বাজারে আমদানিকৃত চায়না হাতিয়ার আসায় আমাদের দেশে তৈরি হাতিয়ারের চাহিদা অনেক কমে গেছে। তাই এই পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদ্বয় বলছেন পূর্বপুরুষদের এই পেশা ধরে রাখা দুষ্কর হবে বলেও মন্তব্য করেন তারা।
একুশে সংবাদ/ এস কে
আপনার মতামত লিখুন :