মাদারীপুরে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট, চাহিদার চেয়েও বেশি গরু বিভিন্ন খামারে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাণী সম্পদ বিভাগ।
আসন্ন ঈদ-উল আযহাকে সামনে রেখে মাদারীপুরের পাঁচটি উপজেলায় প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করা এখন শেষ পর্যায়ে। এ বছর বিভিন্ন খামারে প্রায় ৩৬ হাজার গরু, ১৬৫টি মহিষ, ২৪৬ টি ভেড়া এবং ৩৮ লাখের মত ছাগল কোরবানীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। জেলার চাহিদার চেয়ে বেশি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে। খামারিরা বড় বড় গরু রাজধানী ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছে।
জানা গেছে, মাদারীপুরে এবারের কোরবানীর জন্য ৮ হাজার ৬৯৭ টি খামারে ৩৬ হাজার ৫৯২ টি গরু এবং ৩৮ হাজার ৭৬৭ টি ছাগল প্রস্তুত রয়েছে। যেখানে জেলায় ৩৩ হাজার ৫৫০ টি গরু এবং ৩৩ হাজার ২৫০টি ছাগলের চাহিদা থাকলেও জেলা কোরবানীর জন্য এর চেয়ে উদ্বৃত্ত রয়েছে গরু ও ছাগল। অনেকেই তার শখের পালিত গরুটির শখ করে নাম দিয়েছে রাজাবাবু, ফাটাকেস্টো, বাহাদুর, এমনকি নায়কদের নামেও রয়েছে বিভিন্ন কুরবানির গরুর নাম। এছাড়া মাদারীপুরে রয়েছে ৩০ লাখ দাম হাকানো রাজাবাবু নামে কুরবানির গরু। জেলার খামারের গরুগুলো মধ্যম আকৃতি ও দেখতে সুন্দর হওয়ায় খামারিরা খুশি। হাটে নেয়ার সাথেসাথে বিক্রি হয়ে যায় এসব গরু। অনেক সময় খুচরা ক্রেতা ও পাইকাররা খামার থেকেই গরু কিনে নিয়ে যান। ভালো লাভ হওয়ায় দিনদিন মাদারীপুর জেলায় খামারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সদর উপজেলা দুধখালী ইউনিয়নের বলসা গ্রামের জালাল খানের খামারের ম্যানেজার বলেন, আমাদের খামারের গরু ছাগল, ভেড়া সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে লালন পালন করা হচ্ছে। গরুকে খাওয়ানো হচ্ছে দেশীয় খাবার খড়, খৈল, ভুসি, গুড়ের চিটা, লবণ, চাল-ডাল ও ছোলার-গুঁড়োসহ চাষ করা নেপিয়ার ঘাস। পশু চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী গরুগুলোকে দেয় হয় চিকিৎসা। ব্যবহার করা হচ্ছে না মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কোনো মেডিসিন।
ঘটমাঝি ইউনিয়নের বাবুল চেয়ারম্যানের খামারের ম্যানেজার সুমন বলেন, প্রাকৃতিক খাবার দিয়ে আমরা গরু, ভেড়া পালন করছি। কোন ক্ষতিকর খাবার পশুকে দেয়া হয় না। আমাদের খামারের বড় গরুর নাম দেয়া হয়েছে রাজাবাবু, ফাটাকেস্টো, বাহাদুর। আশাকরি এ বছর হাটে ভালো দাম পাওয়া যাবে।
মাদারীপুর জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সুবোধ কুমার দাস বলেন, কোরবানীকে সামনে রেখে জেলার খামারীরা পশু মোটাতাজাকরণ করছে। খামারীরা কোরবানীর পশুকে যাতে ক্ষতিকর কোন কিছু না খাওয়ায় সে বিষয়ে আমাদের সার্বক্ষনিক তদারকি রয়েছে। খামারীদেরকে বিভিন্ন সময়ে আমরা প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকি। মাদারীপুর জেলার চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত রয়েছে কোরবানির পশু। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে মাদারীপুরে পালিত দেশীয় জাতের গরুর অন্য জেলাতেও যাবে বিক্রির জন্য এবং দামও বেশী পাবে।
একুশে সংবাদ/বিএইচ
আপনার মতামত লিখুন :