বরাবরের মতো এবারও দেশের বৃহত্তম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে ঈদগাহ মাঠের লাইন টানা, চুনকাম, অজুখানা মেরামতসহ বেশিরভাগ কাজ। এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
শোলাকিয়ায় এবার ঈদুল আজহার জামাত শুরু হবে সকাল ৯ টায়। ইমামতি করবেন, শহরের বড়বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা হিফজুর রহমান। জামাতকে ঘিরে থাকছে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়। দূরের যাত্রীদের জন্য দুটি বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে রেলওয়ে। এরইমধ্যে শেষ হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি।
জামাতকে ঘিরে নেয়া হয়েছে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চার স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে বিপুল সংখ্য পুলিশ-র্যাব ছাড়াও থাকছে ২ প্লাটুন বিজিবি। এরই মধ্যে মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
মাঠে প্রবেশের আগে মুসল্লিদের চারটি নিরাপত্তা চৌকি পার হতে হবে। প্রতিটি প্রবেশ পথে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে দেহ তল্লাশির পর মুসল্লিদের মাঠে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। সিসি ক্যামেরায় মনিটর করা হবে মাঠের ভেতর ও চারপাশ।
ঈদগাহের চারপাশে ছয়টি ওয়াচ টাওয়ার বসানো হয়েছে। চারটি শক্তিশালী ড্রোন ক্যামেরা মনিটর করবে চারপাশ।
শনিবার (১৫ জুন) শেষ বারের মতো মাঠ পরিদর্শন করে নিরাপত্তাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
পুলিশ সুপার জানান, সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। মুসল্লিরা যাতে নামাজ আদায় করে নির্বিঘ্নে বাড়িতে যেতে পারে সেভাবেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে।
প্রায় আড়াইশো বছরের প্রাচীন এই ঈদগাহে লাখো মুসল্লির সঙ্গে এক কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজ পড়তে প্রতি বছর ঈদের জামাতে অংশ নেন দেশ-বিদেশের লাখো মানুষ। বংশ পরম্পরায় ছয় একর আয়তনের এই ঈদগাহে নামাজ পড়ছেন অনেকে।
১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহে এক লাখ ২৫ হাজার বা `সোয়া লাখ` মুসল্লি এক সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। সেই থেকে এ মাঠের নাম হয় ‘সোয়া লাখিয়া।’ - যা এখন শোলাকিয়া নামে পরিচিত।
একুশে সংবাদ/চ.প.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :