AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফরিদপুরে গাছের সঙ্গে বেঁধে যুবককে নির্যাতন!


ফরিদপুরে  গাছের সঙ্গে বেঁধে যুবককে নির্যাতন!

ফরিদপুরে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় এক যুবককে গভীর রাতে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের বিরুদ্ধে। তবে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, ওই যুবকের চুরির অভ্যাস রয়েছে, তাই তাকে স্থানীয়রা মারধর করেছে। বিষয়টি নিয়ে মামলাও হয়েছে থানায়।

জানা যায়, বুধবার (১২ জুন) রাতে ফরিদপুর সদর উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের বড় মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা আনোয়ার খাঁনের ছেলে দেলোয়ার খাঁন (৩৬) কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদ ও তার সহযোগীরা।

পরে খবর পেয়ে দেলোয়ারের পরিবারের সদস্যরা ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দেলোয়ার খাঁন বলেন, সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে শাহিন নামের এক যুবকের পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনে প্রতিবাদ করি। এরই জের ধরে রাতে আমার বাড়িতে এসে হাজির হয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদ, শাহিনসহ তাদের সহযোগীরা।

তিনি আরও বলেন, একপর্যায়ে আমি দরজা খুললে মেম্বারসহ সবাই আমাকে জোড়পূর্বক ধরে নিয়ে যায় মাজেদ মল্লিকের বাড়িতে। এরপর ওই বাড়ির একটি গাছের সাথে আমাকে বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে। এতে করে আমার দুই পা ও বাম হাত ভেঙে গেছে।

এ নিয়ে দেলোয়ারের পরিবারে সদস্যরা জানান, ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত জড়িত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

দেলোয়ার খাঁনের স্ত্রী মিরা আক্তার বলেন, মেম্বার আবেদ রাতে যখন আমার স্বামীকে ডাকতে আসে তখন আমরা বাধা দিলে আমাদের ওপরও হামলা চালায়। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।

এদিকে স্থানীয় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তবে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম বাশারুল আলম বাদশা বলেন, ‘দেলোয়ারের চুরি করার অভ্যাস আছে। দীর্ঘদিন যাবত সে স্থানীয়দের মালামাল চুরি করে। সে একজন দাগী চোর। ঘটনার রাতেও সে চুরি করতে গিয়ে ধরা পরে এলাকাবাসীর হাতে, এরপর তাকে মারপিট করে স্থানীয়রা।’

ঘটনার বিষয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা জানান, এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান আবেদকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ১২ জনের বিরুদ্ধে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন দেলোয়ার খাঁন। মারপিটের ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।

 

একুশে সংবাদ/স.চ.প্র/জাহা

 

Link copied!