টাঙ্গাইলে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব টোলপ্লাজা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সকাল থেকে খুবই ধীরগতিতে গাড়ি চলার কারণে এ যানজট তৈরী হয়েছে।
শনিবার (২২ জুন) সকাল থেকে টাঙ্গাইলে গুঁড়ি গুঁড়ি ও ভারি বৃষ্টি আর ফিটনেসবিহীন পরিবহন সড়কে বিকল হওয়া ও ঈদ পরবর্তিতে গাড়ির চাপ বেশি থাকায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়কের এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড হতে ধলাটেংগর পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এবং গোহালিয়াবাড়ীর কামাক্ষা মোড় থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার অংশে যানজট ও ধীরগতি রয়েছে। মহাসড়কের চারলেনের কাজের কারণে জোকারচর এলাকায় ডাইভারশন থাকায় ওই অংশের দুই কিলোমিটারে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া মহাসড়কের পরিবহনের চাপ রয়েছে।
ঈদপরবর্তী মহাসড়কে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার সাথে সাথে বেড়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায়ের হার। গেল ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৬৭ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ টাকা। এসময় সেতুতে পারাপার হয়েছে ৩৯ হাজার ৬৫৩টি পরিবহন।
কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীরা অভিযোগ করে বলেন, ঈদ শেষ হলেও গণপরিবহনগুলোতে তিনগুন ভাড়া বেশি আদায় করছে। বৃষ্টি থাকায় বাধ্য হয়ে অনেকেই বাড়তি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে। প্রশাসনের নজরদারী না থাকায় ভাড়ায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে।
এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলা হতে ঢাকাগামী চলাচল করা গণপরিবহনেও ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করা হচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। শুধু গণপরিবহনেই নয় সিএনজি চালিত অটোরিক্সাতেও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ মীর মো. সাজেদুর রহমান জানান, পরিবহনের চাপ থাকার কারণে ধীরগতিতে চলাচল করছে। তবে বাকি সড়কটুকুতে স্বাভাবিক গতিতে চলাচল করছে পরিবহনগুলো।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ আলমগীর জানান, মহাসড়কে বৃষ্টির কারণে পরিবহন চলাচলে ধীরগতি হয়। তবে স্বাভাবিক গতিতে পরিবহনগুলো চলাচল করছে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :